বরিশালের বাকেরগঞ্জে বিএনপির ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শেষে মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্প‌তিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপু‌র ১টার দিকে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
 
এর আ‌গে বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষিত কমিটি প্রত্যাহার করে উপজেলা বিএনপির পদবঞ্চিতরা। সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক হারুন-অর-রশিদ সিকদারসহ কমিটির নেতৃবৃন্দ জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে জেলা আহ্বায়ক আবুল হোসেন খানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং উপজেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত সদস্য সচিব নাসির হাওলাদারকে লাঞ্চিত করে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বের করে দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
 
এ সময় বর্তমান কমিটি তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় প‌ক্ষের ১০ জন আহত হন। 
 
প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মিজানুর রহমান চুননু দাবি করেন, ২ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান এবং সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিন বিএনপি দলীয় কার্যালয় বসে সবার অগোচরে বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। তাতে হারুন অর রশিদকে আহবায়ক ও নাসির উদ্দিন হাওলাদারকে সদস্য সচিব করা হয়। নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের সাথে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির যোগসাজশ রয়েছে। কমিটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন পদব‌ঞ্চিতরা।
 
তবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন বলেন, নতুন যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে তা তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে হয়েছে। এখানে আপত্তি তোলার কোন অবকাশ নেই। বরং যারা আপত্তি তুলেছে এবং নতুন কমিটির সদস্য সবিচের ওপর হামলা করেছে তারা অর্থ কেলেঙ্কারির মাধ্যমে কমিটিতে আসার বিষয়টি কেন্দ্র জানেন। এ কারণেই কিন্তু জেলার সাবেক কমিটি বিলুপ্ত করেছে। 
 
তিনি দাবি করেন, প্রকৃতপক্ষে বরিশাল মহানগর বিএনপি ও যুবদলের একটি পক্ষ ইন্ধন দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই এসব কাজ করাচ্ছে। এতে বিএনপির কোনো লাভ হচ্ছে না বরং ক্ষতি হচ্ছে।
 
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরকে