কোরআনে হাত রেখে জনপ্রতিনিধিদের আনুগত্যের শপথ করালেন এমপি
পবিত্র কোরআন শরিফ হাত রেখে জনপ্রতিনিধিদের নিজের প্রতি আনুগত্যের শপথ করিয়েছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরী। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদ ভবনে নিজের কার্যালয়ে দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের শপথ করানোর ওই ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়। এরপর রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, পবিত্র কোরআন শরিফে হাত রেখে জনপ্রতিনিধিরা বলেছেন- ‘আজকে আমি পবিত্র কোরআন নিয়ে বলছি- আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিপক্ষে কোনো দিন যাব না ইনশাআল্লাহ। মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আমাদের এলাকায় দলীয় সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবো ইনশাআল্লাহ।’
বিজ্ঞাপন
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী নিজেও ওই শপথের ভিডিও করেন। এ সময় কেউ শপথের কোনো অংশ বাদ দিলে তা নিজেই শিখিয়ে দিচ্ছেন। এক জনপ্রতিনিধি ভুলে গেলে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেন, ‘নৌকার সাথে বেইমানি করবো না ইনশাআল্লাহ।’
জানা যায়, পবিত্র কোরআন শরিফ ছুঁয়ে সংসদ সদস্যের প্রতি আনুগত্যের শপথ করেন গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, গোদাগাড়ী পৌর মেয়র ওয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, মাটিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা, দেওপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেলসহ তানোর ও গোদাগাড়ীর বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়ররা।
বিষয়টি স্বীকার করে গোদাগাড়ীর পৌর মেয়র ও গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়েজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার পক্ষে থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর হাত শক্তিশালী করতে তাদের প্রতি অনুগত থাকার শপথ নিয়েছি। এ সময় অনেকেই ছিল সবাই কোরআন শরিফ ছুঁয়ে শপথ গ্রহণ করেছেন। আমাদের শপথ গ্রহণে কেউ জোর করেনি। আমরা স্বেচ্ছায় শপথ নিয়েছি।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনীল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি জানি না। তবে রাজনীতি করতে হলে অনেক সময় অনেক কথা বলা লাগে। যদি তিনি এভাবে শপথ করান তাহলে কোন মাইন্ডে করিয়েছেন তা আমি বলতে পারব না।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাদেরকে (যারা শপথ করেছেন) জিজ্ঞাসা করেন।
শাহিনুল আশিক/আরএআর