শিশু হত্যার দায়ে দুজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন
বগুড়ার শাজাহানপুরে এক শিশুকে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ১২ বছর পর এ রায় এসেছে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াছমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন- শাজাহানপুরের ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামের আব্দুল খালেক এবং চোপি নগর দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল মাজেদ। দুজনই পলাতক রয়েছেন।
রায়ে ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাককে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট শাজাহানপুরের চোপি নগর এলাকার মাহবুর রহমানের ছেলে রোমানকে হত্যার পর মরদেহ গুম করে আসামিরা। ৫ দিনপর ২৮ আগস্ট একই এলাকার খলিল নামে একজনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশু রোমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জহুরুল ইসলাম বলেন, শিশু রোমান হোসেনের দাদার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসামি খালেক ও মাজেদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল। জমি সংক্রান্ত বিরোধও ছিল তাদের মধ্যে। প্রতিশোধ নিতে আব্দুল খালেক ও আব্দুল মাজেদ শিশু রোমানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তারা আব্দুর রাজ্জাকের মাধ্যমে রোমানকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে নিয়ে আসেন। এ কাজের জন্য আব্দুর রাজ্জাককে ৮ হাজার টাকা দেন খালেক ও মাজেদ।
পরে খালেক ও মাজেদ মিলে রোমানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে মরদেহ গুম করে রাখেন। রোমান নিখোঁজের পর খালেকের আচরণে সন্দেহ হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনা স্বীকার করেন। এ সময় তিনি মাজেদ ও রাজ্জাকের সম্পৃক্ততার কথা জানান। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শিশু রোমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আইনজীবী জহুরুল ইসলাম জানান, আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াছমিন শিশু রোমান হত্যা মামলায় আসামি আব্দুল খালেক ও আব্দুল মাজেদকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আর আব্দুর রাজ্জাককে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়।
আলমগীর হোসেন/এমজেইউ/জেএস