তুরস্কে ভূমিকম্পের পর নিখোঁজ বগুড়ার রিংকুর বাড়িতে চলছে মাতম
তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। এ ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছেন বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কাগইল দেওনাই গ্রামের গোলাম সাঈদ রিংকু। তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
জানা গেছে, রিংকু গাবতলী উপজেলা কাগইল দেওনাই গ্রামের গোলাম রব্বানীর তিন ছেলে-মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। তিনি কাগইল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে এসএসসি পাস করেন। এরপর বগুড়ার এপিবিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০১৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে স্কলারশিপ নিয়ে তুরস্কে পড়তে যান।
বিজ্ঞাপন
রিংকুর বাবা গোলাম রব্বানী জানান, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খাহরামানমারাসে রিংকু বসবাস করতো। তুরস্কের ভয়াবহ ভূমিকম্পে সেই ভবন পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এরপর থেকে তার বন্ধু-বান্ধবরা তার খোঁজ পাচ্ছে না। এই খবর গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বাড়িতে জানান তারা।
রিংকুর ছোট ভাই রিফাত হাসান বলেন, বড় ভাই ২০১৩ সালে এইচএসসি পাস করার পর স্কলারশিপ নিয়ে তুরস্কে চলে যান। সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে অনার্স শেষ করে মাস্টার্স শেষ বর্ষে পড়ছিলেন তিনি। ভাই সর্বশেষ ২০১৮ সালে দেশে এসেছিলেন। গত শুক্রবার রাতে ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল। কয়েক মাস আগে একটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে খন্ডকালীন চাকরি নিয়েছিলেন। মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষার জন্য সেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।
রিফাত বলেন, রিংকু ভাই ও নূরে আলম নামে আরেকজন একই ভবনে থাকতেন। সেই ভবনটি বিধ্বস্ত হয়েছে। নূরে আলম ভবন থেকে বের হয়ে আসতে পারলেও রিংকু ভাইয়ার খোঁজ নেই। কোনোভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। বড় ভাইকে খুঁজে দিতে সরকারের সহযোগিতা চাই।
গাবতলী উপজেলার কাগইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লা রিংকু নিখোঁজের কথা জেনেছেন বলে জানান।
আলমগীর হোসেন/আরএআর