বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। 

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি টেলিফোনে বগুড়া জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসানকে এ নির্দেশ দেন।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে ১০ কেন্দ্রে ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগ এনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের দেওয়া বক্তব্য  বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। তা দেখে সিইসি টেলিফোন করে হিরো আলমের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। সিইসির নির্দেশের পরপর নন্দীগ্রাম উপজেলার সবকটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে প্রাপ্ত ফলাফল পুনরায় যাচাই-বাচাই করা হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলের সঙ্গে ইভিএম মেশিনে পড়া ভোটের হিসাব শতভাগ নির্ভুল হয়েছে। কোন মেশিনে অসামঞ্জস্যপূর্ণ দেখা যায়নি।  প্রয়োজনে প্রার্থী নিজেও কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল নিয়ে যাচাই করতে পারেন।

তিনি আরও বলেন,  অভিযোগ করা সহজ। কিন্তু অভিযোগের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস থাকতে হবে। হাইকোর্টে সবাই যেতে পারে।

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। নির্বাচনের ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগ তুলে হিরো আলম গতকাল বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় বগুড়া শহরতলির এরুলিয়ায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ভোট চুরি হয়নি, ফলাফল ছিনতাই হয়েছে। ন্যায়বিচার পেতে উচ্চ আদালতে যাব। 

বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী- কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার মোট ১১২টি কেন্দ্রে বৈধ ভোট পড়েছে ৭৮ হাজার ৫২৪টি। এর মধ্যে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল হোসেন আলম (একতারা) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট।

আলমগীর হোসেন/আরএআর