তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিকে শীতের পাখির মতো দেখা যাচ্ছে। কয়দিন বিরতি দিয়ে একটা প্রোগ্রাম করে। গাড়ি যখন পুরোনো হয়ে যায় চলে না। তখন কয়েক দিন পর পর স্টার্ট দিতে হয়। বিএনপির কয়েক দিন পর পর কর্মসূচি হচ্ছে- ওই পুরোনো গাড়ি যখন চলে না, ওটাকে মাঝে মধ্যে স্টার্ট দেওয়ার মতো। তাদের (বিএনপি) মনে হয় দম ফুরিয়ে গেছে। সেই কারণে নীবর পদযাত্রা কর্মসূচি দিয়েছে।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে রাজশাহীতে আগামী ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করার লক্ষ্যে মাদরাসা মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আসবেন। বিশাল জনসমুদ্রে ভাষণ দেবেন। জনসভাকে কেন্দ্র করে রাজশাহীতে সাজ সাজ ভাব তৈরি হয়েছে। জনগণের মধ্যে ব্যাপক উৎসহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিতে। যদিও রাজশাহীর মাদরাসা মাঠ জনসভাস্থল, কিন্তু পুরো রাজশাহী শহরে হবে জনসভা। লাখ লাখ মানুষের সমাগম হবে সেদিন। যেভাবে উৎসহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে, কোনোভাবেই এই মাঠে মানুষকে জায়গা করে দেওয়া যাবে না। কারণ এই মাঠের বাইরে ১০ থেকে ১২ গুণ মানুষ থাকবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১৪ বছরে এই রাজশাহী শহর বদলে গেছে। যে ১৪ বছর আগে রাজশাহীতে এসেছে, সে ১৪ বছর পরে রাজশাহীতে এসে চিনতে পারছে না। এটি জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে। পুরো রাজশাহী অঞ্চলটাই বদলে গেছে। প্রধানমন্ত্রী সেদিন শুধু জনসভাই করবেন না, উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

সংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি তো নির্বাচনের বছর। প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের সভপতি হিসেবে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জনসভায় ভোট চাওয়া শুরু করেছেন। আমরাও দলের কর্মী হিসেবে মানুষের কাছে ভোট চাচ্ছি। আমরা সারাবছর মানুষের কাছে থাকি। আমরা শুধু এখন ভোট চাচ্ছি তা নয়। আমরা গত ১৪ বছর মানুষের সঙ্গে থেকেছি। মানুষের খোঁজখবর রেখেছি। 

তিনি বলেন, মানুষের সুখে-দুঃখে, অভাব, অভিযোগে শুধু আওয়ামী লীগকে পাওয়া গেছে। করোনা মহামারির সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ছাড়া অন্য কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। করোনা থেকে মুক্তি লাভের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা বলুন, আর মানুষকে সহায়তা করা বলুন, সবগুলো আওয়ামী লীগ নেতারাই করেছেন। যখন দেশে কোন ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস হয়, তখন আওয়ামী লীগ নেতাদের খুঁজে পাওয়া যায়। 

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

আরএআর