দিনদুপুরে বাবার বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে মেয়েকে অপহরণ
রাজবাড়ীর সদর উপজেলার গোপীনাথ দিয়া গ্রামে দিনদুপুরে বাবার বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে (১৫) অপহরণ করেছেন মিথুন নামের এক যুবক। গোপীনাথ দিয়া গ্রামে অপহৃত ওই ছাত্রীর বাড়ি।
শনিবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে দাদশী ইউনিয়নের গোপিনাথ দিয়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, ৪ মেয়ের মধ্যে অপহৃত ওই ছাত্রী সবার ছোট। সে রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। ১ বছর আগে থেকেই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মিথুন ওরফে পিচ্চি মিথুন তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ ব্যাপারে সদর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ মিথুনকে গ্রেফতারও করে।
কিছুদিন পর মিথুন জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বের হয়ে আবারও ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। সেই সূত্রে মিথুন তাকে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) রাস্তা থেকে অপহরণ করেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে মিথুনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
শনিবার বিকেল ৩টার দিকে মিথুন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে আক্রমণ করে। অস্ত্রের মুখে পরিবারের সকলকে জিম্মি করে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় তারা।
ওই ছাত্রীর এক বান্ধবী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘মিথুন তার বান্ধবীকে রাস্তা-ঘাটে বিরক্ত করতো। কিছু দিন আগে তো তার মোবাইল ফোনটাও ছিনিয়ে নেয়। তখন আমি বাধা দিলে আমাকেও হুমকি দেওয়া হয়। পরে আমিও ভয়ে ওদের বিষয়ে আর কথা বলিনি। কারণ মিথুন সন্ত্রাসী ছেলে।’
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ‘যারা বাড়িতে এসেছিল, তাদের একজনের হাতে পিস্তল ও একজনের হাতে ধারাল অস্ত্র (চাকু) ছিল। বাড়ির বাইরে পাহারায় ছিল আরও ৬ থেকে ৭ জন।’
ওই ছাত্রীর বাবা আরও বলেন, ‘প্রায় ১ বছর ধরে সজ্জনকান্দা গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী মিথুন তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ নিয়ে কয়েকবার পুলিশের কাছে অভিযোগও করা হয়। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি। বরং মেয়েকে উত্ত্যক্ত করা বেড়েই চলছে। আজ মিথুন অস্ত্রের মুখে আমাকে জিম্মি করে মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়।’
রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার ঢাকা পোস্টকে জানান, মিথুনের নামে ১ বছর আগে একটি ইভটিজিং মামলা দায়ের করেছিলেন ভুক্তভোগীর বাবা। আজকের ঘটনায় এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।তবে মুঠোফোনে বিষয়টি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
মীর সামসুজ্জামান/এমএসআর