প্রেসিডেন্ট জিয়া দেশকে গর্ত থেকে উদ্ধার করেছিলেন : আমীর খসরু
নির্বাচন কমিশনারের বাড়িতেও যদি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয় তবুও দেশের জনগণ ভোট হবে এ কথা বিশ্বাস করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বগুড়া শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
আমীর খসরু বলেন, অবৈধ সরকার উন্নয়নের নামে বুলি উড়াচ্ছে। দেশের টাকা লুটপাট করে পাচার করার পর নতুন করে ৫০ হাজার কোটি টাকার নোট ছাপিয়েছে। মেগা প্রকল্পের নামে সব লুটপাট করা হয়েছে। রিজার্ভ লুটে খেয়েছে এই সরকার। তাই দেশকে বাঁচাতে হলে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে এই বাকশালীদের হটাতে হবে।
তিনি বলেন, একটা দেশ থেকে ১০ লাখ কোটি টাকা লুটপাট হওয়ার পর আর কী থাকে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি বিভক্তির রাজনীতি। তারা দেশকে বিভক্ত করতে চায়।
আমীর খসরু বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ফ্রন্টলাইনে থেকেছেন। উনি প্রথম ও এক নম্বর মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশের মানুষের সংকটময় সময়ে শহীদ জিয়া দেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। দায়িত্ব নিয়ে তিনি দেশের রূপান্তর সংস্কার করেছেন। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পরে বাকশাল ও লুটপাটের মাধ্যমে দেশকে যে গর্তে ফেলেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়া দেশকে সেই গর্ত থেকে উদ্ধার করেছিলেন। আজকে তারেক রহমানও একই কাজ করছেন। আওয়ামী লীগের লুটপাতে স্বাধীনতার পর দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল, এখনো ঠিক একই অবস্থা। সেই সময় দেশে
ভোটাধিকার, জীবনের নিরাপত্তা, বাক স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ছিল না। আজকের প্রেক্ষাপটও ঠিক একই।
জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম।
বগুড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ উন-নবী সালামের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর হাসনাত আলী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) বগুড়ার সভাপতি ডা. শাহ শাহজাহান আলী, জিয়া পরিষদের সভাপতি ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, মোশারফ হোসেন, অ্যাডভোকেট মাহবুবর রহমান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম খায়রুল বাশার ও জাহিদুল ইসলাম হেলাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আলমগীর হোসেন/আরএআর