এখনো সেই বাড়িটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ, গ্রেপ্তার দুইজন কারাগারে
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের দিঘলবাকের সেই বাড়ির মূল অভিযুক্ত আফজল হোসেনকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে রোববার (৮ জানুয়ারি) রাতে সিলেটের পীর মহল্লা এলাকা থেকে আফজলের বাবা আখলাকুর রহমান (৭০) এবং তার ছোট ছেলে আমজাদুর রহমানকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশের আদালত পরিদর্শক বোরহান উদ্দিন জানান, জগন্নাথপুরের দিঘলবাকে বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধারের পর গ্রেপ্তারকৃত দুজনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
স্থানীয়রা জানান, এখনো সেই বাড়িটি ঘেরাও করে রেখেছে পুলিশ। বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন থাকায় সেখানে কেউ যেতে পারছেন না। বাড়ি ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে এখনো রহস্য কাজ করছে।
দিঘলবাকের বাসিন্দা রোমান আহমদ জানান, আখলাকুর রহমানের বাড়িতে এখনো পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশের ১০-১২ জনের দল পালাক্রমে ওই বাড়িতে ডিউটি করছেন। এলাকার লোকজনকে সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) জগন্নাথপুর থানার এএসআই মোহাম্মদ নুরে আলম সিদ্দিক আখলাকুর রহমানের ছেলে আফজাল হোসেনের নামে আদালতের ইসুকৃত সমন জারি করতে দিঘলবাকের ওই বাড়িতে যান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আফজল দৌড়ে পালিয়ে যান। আসামির বসতঘরের বিভিন্ন কক্ষে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস, সাদা পাউডার ও যন্ত্রপাতি দেখতে পান পুলিশ সদস্যরা। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পর অভিযান পরিচালনা করে বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। অভিযানে একটি রিভলভার, একটি ল্যাপটপ, নয়টি মোবাইল ফোন, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম ও পাউডার, দুটি ওয়াকিটকি সদৃশবস্তু ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
রোববার রাতে এ ঘটনায় জগন্নাথপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জিয়া উদ্দিন বাদী হয়ে আফজালুর রহমানকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।
তবে বাড়ি ঘিরে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, বাড়িতে যে থ্রেট ছিল তা আমরা সমাধান করে ফেলেছি। তাই বাড়িটিও উন্মুক্ত আছে।
সোহানুর রহমান সোহান/আরএআর