শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আগে নিউজপ্রিন্ট কাগজ দিয়েই বই ছাপা হতো। আমরা কাগজের মান উন্নত করেছিলাম। এবার বিদেশ থেকে কাগজ আনার কোনো সুযোগ ছিল না। আমাদের যে কাগজ ছিল তা দিয়েই বই ছাপাতে হয়েছে।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রশাসন ও মৎস অধিদপ্তর আয়োজিত ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে গরুর বাছুর বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বইয়ের কাগজের মান একেবারে খারাপ হওয়ার কথা নয়। শুধুমাত্র ব্রাইটনেস কিছু কম হয়েছে। আমরা যেটা করেছি সেটা বাধ্য হয়ে করেছি। সেজন্য বইয়ের রঙ কিছুটা ভিন্ন হয়েছে কিন্তু কোনটাই নিউজপ্রিন্ট না।

দীপু মনি বলেন, আগে একটি বই কয়েকজন পড়ত। এখন শুধু একজন শিক্ষার্থীই এক বছর পড়ে। তাই বই নিয়ে অসুবিধা হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের কোনো কিছু হলেই সেটা নিয়ে গেল গেল রব উঠে। কিন্তু সেটার গুণাগুণ বিচার করে কিংবা এটা কেন করতে হলো বা কোথায় সমস্যা হয়েছে সেগুলো নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। অতিমারি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও আমরা বছরের প্রথম দিন বই উৎসব করতে পেরেছি সেটি একটি বিশাল ব্যাপার। এই অর্জনকে পাশ কাটানোর জন্যই নানা রকম কথা বলা হচ্ছে। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি শিক্ষার্থী বই পেয়েছে। হয়তো সব বই পায়নি। তবে যেসব বই এখনো বিতরণ করা হয়নি তা কয়েক দিনের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেলের ভাড়া অন্য সব যানবাহনের তুলনায় অনেক কম। প্রতি কিলোমিটারে পাঁচ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। কাজেই এটাকে হিসাবে নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে জেলার নিবন্ধিত ২০ জন জেলের মাঝে গরুর বাছুর বিতরণ করা হয়। এসময় সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নাজিম দেওয়ান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. বখতিয়ার উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আনোয়ারুল হক/এমজেইউ