বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যুবলীগ নেতার গুদাম থেকে সিলগালা করা ১ হাজার ১২৪ বস্তা চাল উধাওয়ের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে সারিয়াকান্দির বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সারিয়াকান্দির বাগবেড় এলাকার মৃত নুরু প্রামাণিকের ছেলে বেলাল হোসেন, আন্দরবাড়ী এলাকার তোফা ফকিরের ছেলে রুসাত ফকির এবং সোনা মিয়ার ছেলে রায়হান কবির। এসময় চোরাই চাল বহনের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা চাল চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করলেও তদন্তের স্বার্থে মূল হোতাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সারিয়াকান্দি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী।  

এর আগে, গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় সারিয়াকান্দির পৌর এলাকার বাগবেড় গ্রামের যুবলীগ নেতা শাহিন আলমের চালের গুদামে অভিযান পরিচালনা করেন বগুড়া জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাইম। কৃষি বিপণন নিবন্ধন এবং ক্রয়-বিক্রয় রশিদ না থাকায় শাহিন আলমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ১ হাজার ১৩০ বস্তা চালসহ গুদামটি সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সিলগালা করার কয়েক দিন পর গুদামটি থেকে চাল উধাও হওয়ার খবর পেয়ে ২২ ডিসেম্বর বিকেলে গুদামটির সিলগালা আবারও খোলা হয়। গুদামটি খুলে সেখানে থাকা চালের ১ হাজার ১৩০ বস্তার মধ্যে মাত্র ৬টি বস্তা পাওয়া যায়। পরে গুদামটি আবারও সিলগালা করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। এ ঘটনার পর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দেওয়ান আতিকুর রহমান বাদী হয়ে সারিয়াকান্দি থানায় অজ্ঞাত পরিচয়দের আসামি করে একটি মামলা করেন। 

সারিয়াকান্দি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, সিলগালা করা গুদাম থেকে চাল উধাওয়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় চোরাই চাল বহনের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল হোতাদের নাম তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।

আলমগীর হোসেন/আরকে