দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে দীর্ঘ তিন বছর পর বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে খনির চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি-সিএমসি কনসোর্টিয়াম।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বার) গভীর রাতে করোনা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে রোববার থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকেরা খনির প্রধান ফটক দিয়ে বিনা বাধায় চলাচল কতে দেখা গেছে।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শ্রমিকেরা জানান, লকডাউনের কারণে এক্সএমসি-সিএমসি অধীনে কর্মরত ১ হাজার ১৪৭ জন বাংলাদেশি শ্রমিক বেকায় হয়ে পড়েন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের বেতন-ভাতাও বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় কাজে যোগদান ও বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে খনি শ্রমিক ও আউটসোর্স কর্মচারীরা বিক্ষোভ সমাবেশসহ নানান কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলনে যান। পরে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে ২০২০ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে প্রায় সাড়ে ৪০০ মতো শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজে যোগদান করায়। তবে তাদের খনি কম্পাউন্ডের বাইরে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। এতে বাজার করা, চিকিৎসাসহ নানা জরুরি প্রয়োজনে শ্রমিকদের দুর্ভোগে পড়তে হতো।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের এমডি মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর পর এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২০ সালের ২৬ মার্চ খনি লকডাউন ঘোষণা করে। চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে গত শনিবার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হেয়েছে। এরপর থেকেই শ্রমিকেরা নিজেদের বাড়িতে ফিরে যান।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে চীনে আবারও ব্যাপক হারে করোনা বেড়েছে। এই ভ্যারিয়েন্ট ভারতে পাওয়া যাওয়ায় দেশে স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্কতা জারি করেছে। বিষয়টি চীনা কর্তৃপক্ষ ও আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। প্রয়োজনে আবারও বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। তবে বর্তমানে খনিতে কয়লা উৎপাদন স্বাভাবিক আছে বলেও জানান তিনি।

সোহাগ/এসএম