সখ্যতা গড়ে ব্যবসায়ীর পৌনে ১৩ লাখ টাকা নিয়ে উধাও
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গরু ব্যবসায়ী ইউনুস আলীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে ইঞ্জিল হক (৬০) নামের এক ব্যক্তির। ইউনুসের সঙ্গে নিয়মিত হাটে যেতেন ইঞ্জিল হক। সেই সুযোগকে কাজে লাগান ফাঁদ হিসেবে। ইউনুস আলীর গরু বিক্রির পৌনে ১৩ টাকা নিয়ে উধাও হয় বৃদ্ধ ইঞ্জিল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার। স্ত্রী-ছেলেসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪দিকে নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার আতকাপাড়া গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় চুরি করে নেওয়া ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে ১২ লাখ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ইঞ্জিল হক (৬০), তার স্ত্রী রুমা বেগম (৪৫) ও ছেলে জুয়েল মিয়া (১৯)।
সোমবার সন্ধ্যায় ফুলপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, গরু ব্যবসায়ী ইউনুস আলী মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন বাজার থেকে গরু কিনে ব্যবসা করে আসছেন। তিন মাস আগে নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার ইঞ্জিল হকের সঙ্গে গরুর হাটে পরিচয় হয় তার। সেই পরিচয়ের সুবাদে প্রায়ই ব্যবসায়ী ইউনুস আলীর নম্বরে ফোন করে তাকে সঙ্গে রাখার আবদার করতেন। সরল বিশ্বাসে ইউনুস আলী তাকে প্রায়ই সঙ্গে রাখতেন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ডিসেম্বর দিনগত রাত ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ থেকে গরু ব্যবসায়ী ইউনুস আলী গাজীপুরে আসেন। সেখান থেকে ইঞ্জিল হক, ইউনুস আলী ও অন্যান্য গরু ব্যবসায়ীরা ট্রাকে করে ময়নসিংহের ফুলপুরের আমুয়াকান্দা বাজারে গরু কেনার জন্য রওনা দেন। পরে রাত ৩টার দিকে ফুলপুরের আমুয়াকান্দা বাজারে এসে পৌঁছায়। সেখানে পৌঁছে সবাই ট্রাকেই ঘুমিয়ে ছিল। সকাল ৬টার দিকে উঠে দেখেন ইঞ্জিল হক ট্রাকে নেই। এরপর ট্রাকের বডিতে বিছানার নিচে রাখা ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকাও খোঁজে পাওয়া যায়নি। ওইদিন দিনভর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েও টাকা এবং ইঞ্জিল হকের কোনো খোঁজ মেলেনি।
পরদিন রাতে এ ঘটনায় ইউনুস আলী বাদী হয়ে ইঞ্জিল হককে আসামি করে ফুলপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার (২৬) ডিসেম্বর ভোরে নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলা থেকে ইঞ্জিলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উবায়দুল হক/এমজেইউ