‘আজ কম্বল গায়ে জড়িয়ে ঘুমাব, শীত কম লাগবে’
শীতের রাতে জবুথবু হয়ে স্টেশনে ঘুমিয়ে আছেন ছিন্নমূলরা। কেউ চাদর, আবার কেউ গামছা-লুঙ্গি কিংবা ছেড়া কাঁথা গায়ে জড়িয়ে ঘুমাচ্ছেন। তবে পৌষের শীত তা মানছে না। থরথর করে কাঁপছে শরীর। এরই মধ্যে শরীরে জড়িয়ে দেওয়া হলো কম্বল। কম্বলের উষ্ণতা পেয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমালেন তারা।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনে ছিন্নমূল, শীতার্ত, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম। সেখানকার শীতার্ত মানুষের মাঝে তিনি কম্বল বিতরণ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
কম্বল পেয়ে খুশি হয়ে মোজাফ্ফর নামে একজন বলেন, আমি একজন ভিক্ষুক। অন্যের কাছে হাত পেতে যা পাই, তাই দিয়ে দিন চলে। থাকার কোনো জায়গা নেই, তাই রাতে স্টেশনে এসে ঘুমিয়ে পড়ি। এই শীতের রাতে খুব ঠান্ডা লাগে। ঘুমিয়ে গেলেও ঠান্ডায় আবার জেগে উঠি। এখন কম্বল গায়ে জড়িয়ে ঘুমাব, শীত কম লাগবে।
মন্টু নামে আরেকজন বলেন, এখন রাতে অনেক শীত লাগে। একটি চাদর জড়িয়ে ঘুমিয়ে যাই। তাতে কি আর শীত যায়? কম্বল পাওয়াতে ভালো হলো। একটু গায়ে দিলেই শরীর গরম হচ্ছে। রাতে ঘুম ভালো হবে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল-মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ রাতে সাড়ে তিনশ শীতার্তের মাঝে এসপি স্যার কম্বল বিতরণ করেছেন। এদের মধ্যে স্টেশন এলাকার ছিন্নমূল, পাশের বস্তিতে থাকা মানুষরা রয়েছে।
চম্পক কুমার/এসপি