মাদারীপুরে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করতে এসে হামলার শিকার হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার পাঁচখোলা গ্রামের জিএসবি ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরিক হক অভিযান পরিচালনা করার সময় এ ঘটনা ঘটে।

এতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরিক হক, ফরিদপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিসের মাহাতাব ও ভেকুচালকসহ সাতজন হামলার শিকার হয়েছেন। পরে জিএসবি ইটভাটাকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভাটার চিমনি ও কিলন ভেঙে দেওয়া হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরিক হক বলেন, জিএসবি ইটভাটার মালিক পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স না নিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসা করে আসছিলেন। আমরা সরকারি নোটিশ মোতাবেক অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করার জন্য আসি। জিএসবি ইটভাটার মালিক সোবহান ফকির আমাদের আসার বিষয়টি আগে থেকেই টের পেয়ে লোকজন জড়ো করে রাখে। আমরা মালিকের কথা জিজ্ঞাসা করতেই তার লোকজন আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে আমিও ছাড়াও ফরিদপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, ফায়ার সার্ভিসের মাহাতাব এবং ভেকুচালকসহ সাতজন হামলার শিকার হয়। তাৎক্ষণিক আমরা ডিসি স্যারকে আরও ফোর্স পাঠানোর জন্য অনুরোধ করি। ঘটনার পর থেকে সোবহান ফকির পলাতক রয়েছে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রবিহীন অবৈধ সব ইটভাটা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।

ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, পাঁচখোলা গ্রামের জিএসবি ইটভাটার মালিক পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স না নিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসা করে আসছিলেন। পরিবেশ অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অবৈধ ওই ইটভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও জেএস ব্রিকস-৩, এআরজি ব্রিকস, খান ব্রিকস-৩, এএসবি ব্রিকস, জেএসবি-২ ব্রিকস, আনোয়ার ব্রিকসসহ মোট ছয়টি অবৈধ ইটভাটাকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আর ইতালি (আমেনা) ব্রিকসকে ১ লাখ ৫০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

রাকিব হাসান/ এমজেইউ