পৃথিবীতে চা পছন্দ করে না এমন মানুষ মেলা ভার। আর চা যদি হয় ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের তাহলে তো কথাই নেই। রংপুরের পার্ক মোড় এলাকার শাহ আলমের চায়ের দোকানে মিলছে ২৫টি ভিন্ন স্বাদের চা। তার চায়ের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে রংপুর ছাড়াও আশেপাশের জেলাগুলোতে। প্রতিদিনই এই দোকানে ছুটে আসছে বিভিন্ন জেলার চা প্রেমীরা।

দোকানি শাহ আলম বলেন, আমি বিভিন্ন ধরণের শুকনো খাবার বিক্রি করলেও গত ছয় মাস থেকে খাবারের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের চা বিক্রি করছি। আমার দোকানে মোট ২৫ ধরণের চা পাওয়া যায়। এসব চায়ের মধ্যে তন্দুরী চা, মালাই চা, বাটার চা, চকলেট চা, হরলিক্স চা, স্ট্রবিরি চা, বাদাম চা অন্যতম। শুরুতে ক্রেতা কম আসলেও এখন প্রতিদিনই কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাটসহ অন্যান্য জেলা থেকেও মানুষ চা খেতে আসছে। তাছাড়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চা খেতে আসেন। এছাড়াও কারমাইকেল কলেজ ও রংপুর শহর থেকে পরিবারসহ চা খেতে আসেন অনেকেই। আমরা চায়ের গুণাগুণ ঠিক রেখে স্বাদের ভিন্নতা এনেছি, তাই ভিন্ন স্বাদ পেতে প্রতিদিন নতুন নতুন ক্রেতা আসে। 

তিনি জানান, এই চা বিক্রি করে প্রতি মাসে খরচ বাদে তার আয় হচ্ছে চল্লিশ হাজার থেকে পঁঞ্চাশ হাজার টাকা।

চা দোকানের কর্মচারী মালেক বলেন, দিন দিন দোকানে ক্রেতা বাড়ছে। আগে দিনে ১০০ থেকে ১৫০ কাপ চা বিক্রি হলেও এখন দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ কাপ চা বিক্রি হয়। শুক্রবার তো এমন অবস্থা হয় যে ক্রেতা সামলাতে টোকেন দিয়ে চা বিক্রি করতে হয়। এখানে চায়ের দাম ৩০ টাকা থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।

ঢাকার নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী সীমান্ত চা খেতে খেতে বলেন, আমার নানার বাড়ি রংপুরে। কলেজ ছুটিতে রংপুরে বেড়াতে এসে জানতে পারি এই দোকানে ভালো চা পাওয়া যায় তাই খেতে চলে এসেছি। চা খেয়ে অনেক ভালো লাগলো।

ঢাকা থেকে আসা সাইদুর রহমান বলেন, আমি রংপুরে ঘুরতে এসেছিলাম। বন্ধুর কাছে শুনেছি রংপুরের এই দোকানের মালাই চা অনেক ভালো, তাই খেতে এসেছি। এর আগে সিলেটে মালাই চা খেয়েছিলাম। সেটার থেকে এই দোকানের চা ভালো লাগলো।

রংপুর কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী তানজিদ আহমেদ অর্ক বলেন, রংপুরে পার্কের মোড়ের এই দোকানের মালাই চা অনেক মজা। আমি আগেও খেতে এসেছিলাম। চা শেষ হলেও চায়ের স্বাদ মুখে লেগে থাকে।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন, বাইরে চা খেলে এই দোকানেই খাই। এই দোকানের চা ভালো মানের। আজ বান্ধবীরাসহ মজা করে চা খেলাম।

শিপন তালুকদার/আরকে