শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, বাঙালির বুদ্ধি আর কলমের কালি দিয়ে পাকবাহিনীকে ঘায়েল করা হয়েছিল। এ দেশের বুদ্ধিজীবীরা কলম আর কালি দিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। তাদের লেখনির মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার এবং পাকবাহিনীর গণহত্যার কথা উঠে আসে। এজন্যই তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে এ দেশের শিক্ষক, সাহিত্যিক, শিল্পী, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসকসহ সকল বুদ্ধিজীবীদের নির্বিচারে হত্যা করে। তবুও তারা আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারেনি । কারণ আমরা স্বদেশপ্রেম আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সকল ত্যাগ স্বীকার করে বাঙালির অধিকার আদায়ে যুদ্ধ করেছি।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনা মহানগরীর দলীয় কার্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন আর শেখ হাসিনা আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছেন। আগামী প্রজন্মকে স্মার্ট, সমৃদ্ধশালী ও নিরাপদ বাংলাদেশ উপহার দিতে হবে। সেজন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মল্লিক আবিদ হোসেন কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, শ্যামল সিংহ রায়, নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু প্রমুখ।

আলোচনা সভার আগে বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মহানগর শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মো. আব্দুর রহীম খান। এর আগে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত ১২.০১ মিনিটে গল্লামারী বধ্যভূমিতে নেতৃবৃন্দ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

মোহাম্মদ মিলন/এমজেইউ