জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে যাত্রীবাহী বাসচাপায় সেনা সদস্য নাইচ আলী নিহতের ঘটনায় চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় আটক বাসচালককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মামলা হয়। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের পাশের সড়কে দুর্ঘটনায় নাইচ আলী মারা যান।

নিহত নাইচ আলী আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের মহিতুড় গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সেনাবাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল পদে খাগড়াছড়ি সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন।

গ্রেপ্তার বাসচালক মছির উদ্দিন (৫৫) বগুড়ার দুঁপচাচিয়া উপজেলার সোহাগীপাড়া গ্রামের মৃত কছির উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাসচাপায় নিহতের ঘটনায় সেনা সদস্যের বাবা আক্কাস আলী বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় বাসচালকের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গতিতে বাস চালানো ও অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়েছে।

নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সেনা সদস্য নাইচ আলীর দুই সন্তান। মেয়ের বয়স তিন বছর আর ছেলে নবজাতক। গ্রামে ইসলামী জলসা এবং তার নবজাতকের আকিকার জন্য ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন তিনি। রোববার বাড়িতে নবজাতকের আকিকার আয়োজন করেন। সকালে বাড়িতে একটি গরু জবাই করে মাংস আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলি করেন। দুপুরে বাড়িতে খাবারের আয়োজন ছিল। সেই উপলক্ষে বাজার করতে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। 

আক্কেলপুর পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ ভবনের পাশের সড়কে পৌঁছে একটি মোটরসাইকেলকে সাইড দিতে গিয়ে সড়কের ওপর পড়ে যান তিনি। এ সময় পেছনে থাকা বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা আক্কেলপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান নাইচ আলী।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে নিহত সেনা সদস্য নাইচ আলীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। বাসচালককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

চম্পক কুমার/এসপি