পদ্মার ভাঙনে বিলীন একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র
রাজবাড়ী শহরের গোদার বাজার ঘাট এলাকায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মিত বিনোদন কেন্দ্রটি পদ্মা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে পদ্মা পাড়ের সৌন্দর্য উপভোগের কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না দর্শনার্থীরা।
জানা গেছে, কয়েক বছর আগে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দর্শনার্থীদের জন্য গোদার বাজার ঘাট এলাকায় একটি বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছিল। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশন এবং জেলার বিভিন্ন সরকারি দফতরের সৌজন্যে পাকা বেঞ্চ, গোলঘরসহ অনেক স্থাপনা (অবকাঠামো) নির্মাণ করা হয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
দর্শনার্থীরা প্রতিদিন সেখানে গিয়ে পদ্মা পাড়ের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করত। কিন্তু বিনোদন কেন্দ্রটি নির্মাণের পর থেকেই নদী ভাঙনের শিকার হতে থাকে। জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বিনোদন কেন্দ্রটি রক্ষায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং, পাকা ব্লক বসানোসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও সেটিকে রক্ষা করা যায়নি।
কালের পরিক্রমায় নদী ভাঙনের শিকার হয়ে বিলীন হয়ে গেছে পুরো বিনোদন কেন্দ্রটি। এর ফলে দর্শনার্থীরা এখন আর সেখানে পদ্মা পাড়ের সৌন্দর্য উপভোগের কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না।
সোমবার (৮ মার্চ) বিকেলে পদ্মা পাড়ে সপরিবারে বেড়াতে আসা এক দম্পতি ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাজবাড়ীতে বিনোদনের জন্য তেমন কোনো জায়গা নেই। জেলা প্রশাসন এখানে বিনোদন কেন্দ্রটি নির্মাণ করার পর অনেক সুবিধা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেটি পুরোপুরি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় এখানে ঘুরতে আসা মানুষজন আগের মতো কোনো সুবিধা পাচ্ছে না। আমরা শিগগির আরেকটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রাজবাড়ীর কবি ও সাংস্কৃতিক কর্মী নেহাল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গোদার বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলেছিল। পদ্মা নদীর পাড়ে এই বিনোদন কেন্দ্রটি খুবই জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু নদী ভাঙনের কবলে পড়ে প্রায় তিন শতাংশ নদী গর্ভে চলে গেছে। প্রতি বছরই নদী ভাঙনে এ অঞ্চলের কৃষি জমি, বিনোদন কেন্দ্র, প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, পদ্মা নদীর পাড় দিয়ে শহর রক্ষা বেড়ি বাঁধের চলমান উন্নয়ন কাজ শেষ হলেই ওই এলাকায় বিনোদন কেন্দ্র করা হবে।
মীর সামসুজ্জামান/এসপি