ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পারিবারিক কলহের জেরে ছেলের বিরুদ্ধে বাবাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে ভাঙ্গা পৌরসভার ছিলাধরচর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম কিবরিয়া ফকির (৫৫)। তিনি ছিলাধরচর মহল্লার মৃত আদেল ফকিরের ছেলে। অভিযুক্তের নাম  নাইম ফকির (২০), তিনি কিবরিয়া ফকিরের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে ভাঙ্গা পৌরসভার ছিলাধরচর মহল্লার নিজ বাড়িতে ছেলের সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয় কিবরিয়ার। এক পর্যায়ে ছেলে নাইম মেজাজ হারিয়ে বাবা কিবরিয়া ফকিরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান। পরে স্বজনরা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, নিহত কিবরিয়ার গলা, ঘাড়, পিঠ ও কানে ধারালো অস্ত্রের একাধিক কোপের চিহ্ন রয়েছে। 

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়ারুল ইসলাম জানান, ছিলাধরচরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানা যাবে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. হেলাল উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন,  পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে নাইম বাবাকে ধারাল কোনো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এর ফলে মৃত্যু হয় কিবরিয়ার। 

তিনি বলেন, এ ঘটনার পর ছেলে নাইম পালিয়ে গেছে। তাকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।

জহির হোসেন/এসকেডি