বাগেরহাটে ‘যুবলীগের চেকপোস্টে’ সাংবাদিককে মারধর
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এসএম সাইফুল ইসলাম কবির (৪৮) নামে স্থানীয় এক সাংবাদিককে মারধর করেছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে সাইনবোর্ড-বগি আঞ্চলিক মহাসড়কের মাঝিবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির সমাবেশে যেতে বাধা দেওয়ার জন্য শুক্রবার রাত থেকেই সেখানে চেকপোস্ট বসান ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।
এ সময় এসএম সাইফুল ইসলাম কবিরের স্ত্রী সাথী ইসলাম, বড় ভাই আব্দুল রব ফকির ও অটোচালক অহিদুলকেও মারধর করেন তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ লোহার রড ও লাঠি উদ্ধার করে।
বিজ্ঞাপন
আহত এসএম সাইফুল ইসলাম কবির ডেইলি অবজারভার পত্রিকার মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি এবং উপজেলার ভাইজোড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এসএম সাইফুল ইসলাম কবির বলেন, পারিবারিক কাজ সেরে অটোরকিশায় করে স্ত্রী ও বড় ভাইকে নিয়ে মোংলা থেকে ফিরছিলাম। পথিমধ্যে মাঝিবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন সুমনের নেতৃত্বে আমাদের অটোরকিশা আটকে দেওয়া হয়। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও সুমনসহ আরও কয়েকজন আমাকে মারধর করে। আমার স্ত্রী, আমার বড় ভাই ও অটো চালককেও মারধর করেছে।
এসএম সাইফুল ইসলাম কবিরের স্ত্রী সাথী ইসলাম বলেন, আমরা কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমার স্বামীকে অটো থেকে টেনে বের করে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি অনেক কষ্টে ধরে রেখেছি। আমরাও আওয়ামী লীগ পরিবারের। তাও পথে ঘাটে মার খেতে হলো।
মারধরের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে যুবলীগ নেতা সাব্বির হোসেন সুমন বলেন, একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এজন্য আমি এবং চেকপোস্টে থাকা কয়েকজন সাংবাদিক সাইফুল ইসলামের কাছে ক্ষমাও চেয়েছি।
মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, একটা ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ দিলে আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেব।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর