আমরাও চাই তারেক রহমান দেশে আসুক : শেখ সেলিম
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, দুর্নীতির দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান নাকি বীরের বেশে দেশে আসবে। আমরাও চাই সে আসুক, তার যে যাবজ্জীবনের সাজা হয়ে আছে সেটার কী হবে? দেশে এলে তাকে কাশিমপুরে নয়, রাখা হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলে।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা হাইস্কুল মাঠে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
শেখ সেলিম বলেন, বিএনপি কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলে। আরে কিসের গণতন্ত্র। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার পারিবারের ১৮ জন সদস্যকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল, তখন কোথায় ছিল গণতন্ত্র? গণতন্ত্রের কথা বলা বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছিল। তাদের (বিএনপির) মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।
বিদেশি কূটনীতিকদের সমালোচনা করে শেখ সেলিম বলেন, বিদেশের কূটনীতিকরা আমাদের দেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে। তাদের এ অধিকার কে দিয়েছে? আমরা ভুলে যাই নাই স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমেরিকার ভূমিকা কী ছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী নূরকে বার বার ফেরত চেয়েছি, তারা আমাদের সেই হত্যাকারীকে ফেরত দেয়নি। তারা মানবতার কথা বলে বুলি ছোড়ে। তাদের (আমেরিকা) মানবতা হলো খুনিদের জন্য মানবতা। তারা খুনিদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার গল্প শোনায়। আমি সকল কূটনীতিকদের বলতে চাই, আপনারা আপনাদের কূটনীতিক কাজ করুন। এ দেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার আপনাদের নেই। আপনাদেরকে লাগবে না আমাদের দেশের বিষয়ে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর প্রমুখ।
আরিফ আজগর/আরএআর