চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৬২ আড়িয়ায় নিখোঁজের ১৪ দিন পর আখখেত থেকে ইয়াদ আলী (৩৫) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার ৬২ নং আড়িয়া গ্রামের কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের বাণিজ্যিক খামারের জি ব্লকের আখখেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ইয়াদ আলী একই উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের জোড়াতলাপাড়ার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল লতিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বুধবার বিকেলে 'জি' ব্লকের আখখেতে ঘাস কাটতে যাই। এসময় অর্ধগলিত মরদেহটি দেখে স্থানীয়দের জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, গত ২৪ নভেম্বর ইয়াদ আলী বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ২৬ নভেম্বর দর্শনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। বুধবার স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে একটি আখখেতে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা ইয়াদ আলীর মরদেহ বলে শনাক্ত করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর ধরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন ইয়াদ আলী। মাঝেমধ্যেই কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে যেতেন। গত ২৪ তারিখে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। আজ আখখেত থেকে ইয়াদ আলীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইসএম লুৎফুল কবীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

আফজালুল হক/এসকেডি