স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রাঙামাটির লংগদু উপজেলার এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমকে (৪৬) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালর বিচারক এ.ই.এম ইসমাইল হােসেন এই রায় ঘােষণা করেন।
রায়ে উল্লেখ করা হয়, রাঙামাটির লংগদু উপজেলার করল্যাছড়ি আর.এস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসের ভেতরে এক ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন মর্মে রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আসামিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের দায়ে দােষী সাব্যস্ত করা হয়।
বিজ্ঞাপন
রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, উক্ত অপরাধের দায়ে তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং এর অতিরিক্ত ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এই অর্থদণ্ড আদায় করে ভুক্তভোগীকে কারাগারে প্রদানের জন্য নির্দেশ দেন আদালত।
এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি সাইফুল ইসলাম অভি বলেন, দীর্ঘ প্রায় দুই বছর পর এ মামলার রায় হয়েছে। শিক্ষকতার মত মহান পেশাকে কলঙ্কিত করার দায়ে যে রায় হয়েছে এতে আমার মনে হয় সমাজ থেকে এরকম অপরাধ দূর হবে এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে সম্মানজনক মনোভাব ঠিকে থাকবে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী রাজীব চাকমা বলেন, বিজ্ঞ আদালত যে রায় দিয়েছেন এতে আমার সন্তোষ প্রকাশ করছি। আদালত সঠিক ও ন্যায় বিচার করেছেন বলে আমরা মনে করি।
এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোখতার আহমদ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ মামলায় আমরা সঠিক বিচার পাইনি তাই উচ্চ আদালতে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আসামি আব্দুর রহিম ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। ৫ অক্টোবর লংগদু থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। দুই বছর এক মাস পর মামলার রায় দিয়েছেন আদালত।
মিশু মল্লিক/আরকে