সমাবেশে লাঠি নিয়ে এলে আ.লীগ আঙুল চুষবে না: ওবায়দুল কাদের
১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করুক তা আমরাও চাই। কিন্তু আগুন আর লাঠি নিয়ে এলে খেলা হবে। আপনারা আগুন নিয়ে খেললে আমাদের নেতাকর্মীরা আঙুল চুষবে না।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে জামালপুর জিলা স্কুল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, কারবালায়ও শিশু হত্যা হয়নি, নারী হত্যা হয়নি। কিন্তু পঁচাত্তরে অবলা নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর জয়বাংলা নিষিদ্ধ করা হয়। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধও নিষিদ্ধ হয়ে যায়। আর এসবের হোতা খন্দকার মোশতাকের প্রধান সেনাপতি জিয়াউর রহমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যাপারে সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, হাওয়া ভবনের যুবরাজ শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড ছুড়েছিল। সে কত টাকার মালিক কেউ বলতে পারে না। দেশে তার কতটা বাড়ি আছে, কতটা মার্কেট আছে তাও কেউ জানে না। বড়লোকদের বাড়ির সামনে লেখা থাকে কুকুর থেকে সাবধান। আমি দেশবাসীকে বলি তারেক রহমান থেকে সাবধান।
এর আগে, সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বাবু অসীম কুমার উকিল, সদস্য মারুফা আক্তার পপি, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, সাবেক মন্ত্রী আলহাজ আবুল কালাম আজাদ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ ফরিদুল হক খান দুলাল প্রমুখ।
সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে এডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহকে পুনর্নির্বাচিত এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিজন কুমার চন্দ ও সহসভাপতি হিসেবে ফারুক আহম্মেদ চৌধুরীর নাম ঘোষণা করা হয়।
উবায়দুল হক/এমজেইউ