বগুড়া সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত
মহান সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা আয়োজনে উদযাপন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক ডিভিশন। সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়ার মাঝিড়া সেনানিবাসে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও দিবসটি পালিত হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে ১৩৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ১১ পদাতিক ডিভিশনের বিভিন্ন জেলার সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আগত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল অতিথিদেরকে অভ্যর্থনা জানান প্রধান অতিথি ১১ পদাতিক ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খায়রুল ইসলাম, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি।
বিজ্ঞাপন
প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় পর্যায়ে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, পাবর্ত চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন, জঙ্গী দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন দেশগঠনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। এছাড়াও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
তিনি আরও বলেন, আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে বর্তমান সরকার সবসময় আন্তরিক রয়েছেন।
প্রধান অতিথি উপস্থিত সকলের উদ্দেশে প্রদত্ত তার স্বাগত ভাষণের শুরুতেই স্মরণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং শ্রদ্ধা জানান অগণিত বীর শহিদদের ও সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বিশেষ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধে বগুড়া অঞ্চলের অসীম সাহসিকতা, সহযোগিতা এবং বীরত্বপূর্ণ অবদানের প্রশংসা করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত বগুড়া অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এছাড়াও তিনি আগত সকল মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
আলমগীর হোসেন/আরকে