হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
হবিগঞ্জের লাখাইয়ে বিএনপির প্রস্তুতি সভাকে কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশ এবং জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক জিকে গউছসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় লাখাই বামৈ এলাকায় উপজেলা বিএনপির আয়োজনে সিলেটের গণসমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতিমূলক সভা চলছিল। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
বিজ্ঞাপন
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ সন্ধ্যায় উপজেলার বামৈ বাজারের ফরিদ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। মাগরিবের নামাজের পর সভা শুরু হওয়া মাত্র পুলিশ সভাস্থলে এসে ব্যাপক গুলিবর্ষণ ও লাঠিচার্জ করে। এতে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক জিকে গউছসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এসময় পুলিশ লাখাই উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ ফরিদ মিয়াকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেছে বলে জানান জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।
লাখাই থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া ঢাকা পোস্টকে জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে লাখাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চম্পক দামসহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এসময় পুলিশ জনগণের জানমাল রক্ষায় ফাঁকা গুলি ছুড়ে। আহত পুলিশ সদস্যদের লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তবে তিনি উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ ফরিদ মিয়াকে গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এদিকে সংঘর্ষের পর বামৈ বাজারে এক সভা করে বিএনপি। সেখানে জিকে গউছ বলেন, পুলিশ বিনা উস্কানিতে শান্তিপূর্ণ সভায় হামলা চালিয়ে শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করেছে। পুলিশের গুলিতে আমাদের নেতাকর্মীদের শরীর ঝাঁঝরা হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের হামলার ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বিষয়টির খোঁজ নিয়েছেন। আমরা কোনোভাবেই পিছপা হব না। যেকোনো মূল্যে সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করা হবে। কোনো অপশক্তি আমাদের রুখতে পারবে না।
মো. আজহারুল ইসলাম চৌধুরী/এমজেইউ