অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন জিয়াউল হক। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়াও করাচ্ছেন। কিন্তু মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে জোহরের নামাজ পড়তে গেলে তার একমাত্র সম্বল অটোরিকশাটি চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি। কেঁদে কেঁদে সবার কাছে অটোরিকশাটির খোঁজ চাইছিলেন।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মসজিদের সামনে অটোরিকশা রেখে নামাজ আদায় করতে যান জিয়াউল হক। এসে দেখে তার অটোরিকশাটি নেই। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারপর থেকে শেরপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় অটোরিকশাটি খুঁজতে শুরু করেন।

অটোরিকশা হারিয়ে জিয়াউল হক বলেন, আমার সংসারে আয়ের একমাত্র উৎস এই অটোরিকশা। এখান থেকে যা আয় করি তা দিয়ে আমার তিন সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চলে। আমি অটোরিকশাটি ছয় মাস আগে এনজিও থেকে টাকা নিয়ে কিনেছি। প্রতি মাসে ছয় হাজার টাকা এনজিওকে দিতে হয়। আমার আরও তিনটা কিস্তি বাকি আছে। আমার অটোরিকশাটি হারিয়ে গেছে। আমি এখন এনজিওর টাকা কেমনে দিমু। আমার সন্তানের লেখাপড়ার খরচ কেমনে চালাব।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রক্তসৈনিক শেরপুর’র ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আমরা একসঙ্গে নামাজ আদায় করি। তিনি মসজিদ থেকে বের হয়ে কান্নাকাটি করছিলেন। আমরা সবাই গিয়ে দেখি তার আয়ের একমাত্র উৎস অটোরিকশাটি চুরি হয়ে গেছে। তিনি অটোরিকশাটি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন।

জানতে চাইলে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা এ বিষয়ে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এসএসএইচ