নূর ইসলাম

ফরিদপুরে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে কালা চাঁন (৩০) হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে চার মাস করে বিনাশ্রম করাদণ্ড ভোগ করতে হবে। সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত-১ এর বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় প্রদান করেন।

রায় প্রদানের সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মহেষপু গ্রামের নূর ইসলাম (৪৫) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি চারজন পলতক ছিলেন। তাদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

পলাতক আসামিরা হলেন, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার কোনাগ্রামের মো. মনির শেখ (৩৫) ও ইকতার মোল্লা (৩৪) ফরিদপুরের বোয়ালমারীর বনচাকী গ্রামের এনায়েত আমিন (৪০) ও গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ব্যাসপুর গ্রামের মো. মিরাজ (৪০)।

মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে কালা চাঁন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধুলঝুড়ি গ্রামের মৃত সবুর শেখের ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ২০১২ সালের ২৭ জুলাই বিকেলে তিনি বাড়ি হতে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। সারারাত তিনি বাড়ি ফিরে আসেনি। পরদিন ২৮ জুলাই সকালে  কোনাগ্রামগামী কাঁচা রাস্তা সংলগ্ন পলাশ মন্ডলের পাটক্ষেতের ভিতর শহীদুল ইসলামের মৃতদেহ দেখে এলাকাবসী ও পরিবারের সদস্যরা পুলিশে খবর দেয়। তবে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় শহীদুলের চাচা মো. আক্কাস শেখ (৬০) বাদী হয়ে গত ২৮ জুলাই অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এজাহারে বলা হয়, অজ্ঞাতনামা হত্যাকারীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ২৭ জুলাই রাত থেকে ২৮ জুলাই ভোরের মধ্যে শহীদুলকে হত্যা করে পাটক্ষেতে লুকিয়ে রাখে এবং তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি নিয়ে যায়। গত ২০১৩ সালের ২ মে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সিরাজুল ইসলাম ওই পাঁচ ব্যক্তির নামে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চত রাষ্ট্রপক্ষের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর নওয়াব আলী মৃধা করে, এ হত্যা মামালায় পঁচজনের যাবজ্জীন করাদণ্ড ও ২০ হাজার করে টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও চার মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

জহির হোসেন/আরকে