বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি, হত্যা, হামলা ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ফরিদপুরে বিভাগীয় গণসমাবেশ করছে বিএনপি। শনিবার (১২ নভেম্বর) সকাল থেকেই সমাবেশস্থল জনস্রোতে পরিণত হয়েছে।

এদিকে গণসমাবেশের দুই দিন আগে মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে ৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস মালিক সমিতি। ফলে নেতাকর্মীরা ধর্মঘট উপেক্ষা করে সমাবেশের ২-৩ দিন আগে থেকেই আসতে শুরু করেন।

সরেজমিনে ফরিদপুর কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে দেখা যায়, হাজার হাজার নেতাকর্মী পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। কানাই কানাই পূর্ণ হয়ে উঠেছে সমাবেশস্থল। মিছিলে-মিছিলে স্লোগানে-স্লোগানে মুখর সমাবেশের মাঠ। 

জানা গেছে, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গী।

ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা বলেন, গণসমাবেশের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫টি জেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী এসেছেন। সমাবেশ সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ।

ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয়কারী ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, বেসরকারি বাসের পাশাপাশি দুদিন বিআরটিসির বাস বন্ধ করার কারণ বিএনপির গণসমাবেশকে বাধা দেওয়া। কিন্তু এতে বিএনপির গণসমাবেশে কোনো প্রভাব পড়বে না। হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে এসেছে। কোনো প্রতিবন্ধকতায় নেতাকর্মীদের আটকে রাখতে পারেনি।

মীর সামসুজ্জামান/এসপি