রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেওয়া প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য গাছের চারা বরাদ্দ থাকলেও তা বিতরণ করা হয়নি। বরাদ্দকৃত গাছের চারা বিতরণ না করে চারা কেনার অর্থে পকেট ভরেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম। শুধু তাই নয়, প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, চলতি বছরের গত ২৬ ও ২৭ জুন গঙ্গাচড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে ‘অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রশিক্ষণে ৩০ জন অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে ৩০ জন অংশগ্রহণকারীর জন্য মোট বরাদ্দ ছিল ৮১ হাজার টাকা। এর মধ্যে অংশগ্রহণ প্রশিক্ষণার্থীদের প্রত্যেককে সম্মানি বাবদ ১ হাজার করে দেওয়া হয়।

এছাড়া গাছের চারা বাবদ বরাদ্দ ধরা হয় ১৫ হাজার টাকা। এই ১৫ হাজার টাকা থেকে প্রতিজনকে ৫০০ টাকার বারি আম, বারি মালটা, লিচু ও পেয়ারা গাছের চারা বিতরণের কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের মারুফা, নোহালী ইউনিয়নের ফারহানা, বেতগাড়ী ইউনিয়নের শিমু আক্তার এবং মর্নেয়া ইউনিয়নের আব্দুল লতিফসহ প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া অনেকেই জানান, দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে সম্মানি বাবদ শুধুমাত্র এক হাজার করে টাকা পেয়েছেন তারা। গাছের চারা দেওয়ার কথা থাকলেও তাদের কাউকে চারা দেওয়া হয়নি। দুই দিনের ওই প্রশিক্ষণে যে খাবার দেওয়া হয়েছিল তাও ছিল নিম্নমানের। 

বরাদ্দকৃত গাছের চারা বিতরণ না করে পুরো টাকাই আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ প্রশিক্ষণার্থীরা বলেন, সরকার যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায়, তা এমন অসৎ কর্মকর্তাদের কারণে ভেস্তে যায়। যদি ওই দিন চারা গাছ দেওয়া হতো, এতদিনে সেগুলো কিছুটা হলেও বড় হতো।  

এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রশিক্ষণের সময় চারা গাছ পাওয়া যায়নি বলে তখন দেওয়া হয়নি। যেহেতু এটি একটি প্রক্রিয়া, এ কারণে অংশগ্রহণকারীদের হতাশ হবার কিছু নেই। আমি তাদের বলে দিয়েছি সময় করে সবাইকে চারা গাছ দেওয়া হবে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর