সড়ক দুর্ঘটনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসমাইল ইমন নিহতের ঘটনায় সাকুরা বাসের রুট পারমিট সাময়িক বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন তার সহপাঠীরা। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পটুয়াখালী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছে।

নিহত ইসমাইল ইমন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও ভোলার বাসিন্দা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ভূমিকা সরকার বলেন, সাকুরা বাসের চাপায় ইমন মারা গেছে। তার হত্যার বিচার চেয়ে আমরা সড়ক অবরোধ করেছি। যতদিন দাবি আদায় না হবে ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাব।

আরেক শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, সড়কে বিশৃঙ্খলা পুরোনো। সরকার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা আজকে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছি। আমরা ইমনের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

এদিকে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার যাত্রী। অনেকে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. খোরশেদ আলম বলেন, ঘটনাটি সমাধানের জন্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা চাচ্ছি বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে। এছাড়া নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারের পাশে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো- সাকুরা বাসের রুট পারমিট সাময়িক বাতিল করতে হবে, ইসমাইল ইমনের মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ কোটি টাকা দিতে হবে, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণ খতিয়ে দেখে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে, প্রত্যেক বাসকে জিপিএস ট্র্যাকিং-এর আওতায় এনে অতিরিক্ত গতির জন্য জরিমানার ব্যবস্থা করতে হবে ও স্পিড লক ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত রোববার (৬ নভেম্বর) ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসমাইল ইমন সাকুরা বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার ইমন মারা যায়।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমজেইউ