৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে অপহৃত গৃহবধূকে উদ্ধার করলো পুলিশ
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বেঁচে গেলেন গৃহবধূ। এ ঘটনায় আমিনুল ইসলাম নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী থানায় অপহরণকারী ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন উদ্ধার হওয়া গৃহবধূ (২২)।
এর আগে শনিবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে অপহৃত গৃহবধূকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার আমিনুল ইসলাম আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবধা গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলার দক্ষিণ গোবধা গ্রামের শ্যামল চন্দ্রের জমি ক্রয় সময় করেন প্রতিবেশী আমিনুল ইসলাম। জমি ক্রয় সংক্রান্ত কাজে ওই বাড়িতে যাতায়াত করার এক পর্যয়ে আমিনুলের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠে ওই গৃহবধূর।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাতে পারিবারিক কাজে বাইরে বের হলে মাইক্রোবাস নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আমিনুল ইসলাম ওই নারীকে জোর করে গাড়িতে উঠিয়ে মুখ বেঁধে ঢাকা মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাসায় নিয়ে যান। রাতে বাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূর কোনো সন্ধান না পেয়ে পরদিন আদিতমারী থানায় জিডি করেন।
পরদিন অপহরণকারী যুবক বাইরে গেলে অন্য এক নারীর সহায়তায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশি সহায়তা দাবি করেন ওই গৃহবধূ। এরপর মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং অপহরণকারী যুবক আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
অপহৃতার নিখোঁজ জিডি মূলে আদিতমারী থানা পুলিশ ঢাকার মোহাম্মদপুর থানা থেকে অপহৃতা ওই গৃহবধূকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত যুবক আমিনুলকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে অপহৃতা গৃহবধূ বাদী হয়ে আমিনুলকে প্রধান করে ৬ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
তবে অভিযুক্ত যুবক আমিনুল ইসলামের পরিবারের দাবি ওই গৃহবধূ সঙ্গে পরকীয়া প্রেম ছিল আমিনুলের। বিয়ে করতেই তারা স্বেচ্ছায় রাজধানী ঢাকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ছিলেন। মেয়েটি তার পূর্বের স্বামীর চাপে প্রেমিকের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেছে।
আদিতমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, রাজধানী ঢাকা থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে তার দেওয়া অভিযোগে থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় আমিনুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
নিয়াজ আহমেদ সিপন/এমএএস