নারায়ণগঞ্জে একটি রেকর্ডিং স্টুডিও’র এসি বিস্ফোরণে পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। দগ্ধদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে কবি ও গায়ক এস এ শামীম চৌধুরীর বসতবাড়ির নিচ তলার একটি রুমে স্থাপিত রেকর্ডিং স্টুডিওতে গান রেকর্ডিংয়ের সময় ওই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এসময় দগ্ধ পাঁচজন ওই রুমের ভেতরে ছিলেন।

বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধরা হলেন- এস এ শামীম (৫৮), তার ছেলে বাবন (২৮), বাবনের বন্ধু মাহিন (২৯) ও এস এ শামীমের নাতি রাজ (৫) এবং রেজানুর রহমান (২২) একজন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইয়ুব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দগ্ধদের মধ্যে বাবন ও মাহিন গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শহরের ৩শ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করলে তাদের সেখানে ভর্তি করা হয়। 

জানা গেছে, ওই দুইজনের বুক ও পিঠের অংশ দগ্ধ হয়েছে। বিস্ফোরণে ওই স্টুডিও’র দরজা, জানালা ভেঙে গেছে। এছাড়াও এসিসহ ওই ঘরের ভেতরে থাকা অন্যান্য যন্ত্রাংশ ও আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে গেছে। তবে স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও উদ্ধারকারী সাজু বলেন, বাড়ির নিচ তলায় গান রেকর্ডিংয়ের জন্য একটি রুম করা হয়েছে। এখানে সাহিত্য আড্ডা দেওয়ার জন্য কবি সাহিত্যিকরা সব সময় আসা-যাওয়া করেন। আজ দুপুর ১টার দিকে বিকট শব্দ হলে সেখানে গিয়ে দেখি, স্টুডিও’র ভেতরে আমার ছোট ভাই বাবন ও তার বন্ধু চিৎকার করছে। তাদের দুইজনেরই বুক ও পিঠের অংশ দগ্ধ হয়েছে। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তারা এখন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটে ভর্তি আছে।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু ঢাকা পোস্টকে বলেন, এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট ৫ জন দগ্ধ হয়েছে বলে জেনেছি। এদের মধ্যে দুইজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনিস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আবির শিকদার/এসএএ/এমএএস