কাঁদছিল শিশু, শয়নকক্ষে মিলল স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ
সিলেটের জালালাবাদ থানাধীন পাঠানটুলা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর পাঠানটুলা পল্লবী আ/এসি-২৫ নং বীরেন্দ্র দেবের ভাড়া বাসার শয়নকক্ষ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃতরা হলেন- সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার রাজাবাজ গ্রামের রুকুনি তালুকদারের ছেলে রিপন তালুকদার ও তার স্ত্রী শিপা দাস। রিপন একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। এই দম্পতির দুই বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। তার নাম ঋত্বিক তালুকদার।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেশী শিল্পী সরকার বলেন, প্রায় সাত মাস ধরে তারা এই বাসায় ভাড়া থাকতেন। কখনো ঝগড়া-বিবাদ শুনিনি। সকাল ৯টার দিকে বন্ধ ঘরে শিশুটির কান্না শুনতে পাই। বাহির থেকে অনেক ডাকাডাকি করা হয়। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে জানানো হয়।
শিপা দাসের ভাই নিবারণ দাস বলেন, আমার বোনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এরপর ভগ্নিপতি রিপন আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছি।
নিহত রিপনের চাচাতো ভাই অনুকূল তালুকতার বলেন, রিপন একটি বিস্কুট কোম্পানির পরিবেশকের অধীনে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু কী কারণে তারা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তা তিনি বলতে পারছেন না।
এদিকে বাসার ভেতর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। চিরকুটে লেখা ছিল- আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছি, তোমরা আমার সন্তানকে খেয়াল রেখো। তবে চিরকুটটি কার লেখা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
খবর পেয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গৌতম দেব, জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান বলেন, আমরা ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। কেন তারা আত্মহত্যা করেছেন, তা আমাদের জানা নেই। তবে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
মাসুদ আহমদ রনি/আরএআর