বিএনপির নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করা প্রকাশ্য সংগঠন। চাইলেই বিএনপিকে হেফাজতের কায়দায় মোকাবিলা করা যাবে না। খুলনার মানুষ ২২ অক্টোবর শেখ হাসিনাকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহাসমাবেশ থেকে সরকারের পতনের ঘণ্টাধ্বনি বাজানো হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) খুলনায় বিএনপি আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। গত ২২ অক্টোবর খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করায় মহানগর ও জেলা বিএনপি যৌথভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন সভা আহ্বান করে।

হেলাল আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে বিজয়ী না হওয়া পর্যন্ত আমাদের রাজপথের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। খুলনা সমাবেশ বানচালে সরকার, পুলিশ প্রশাসন ও শাসক দলীয় সন্ত্রাসীরা ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল। হামলা, মামলা, নির্যাতন, গণগ্রেফতার মোকাবিলা করেই বিভাগের ১০ জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা কর্মসূচিকে সফল করেছে। সারাদেশে চলমান ধারাবাহিক কর্মসূচিতে খুলনার গণসমাবেশ রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। রাতে মঞ্চ নির্মাণ থেকে শুরু করে পরদিন সমাবেশ শেষ হওয়া পর্যন্ত তারেক রহমান সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি খুলনার আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য রকিবুল ইসলাম বকুল।  
 
সভায় কর্মসূচি সফল করতে গঠিত ১৬টি উপ-কমিটির সকল সদস্য, বিএনপি ও সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সমাবেশ সফল করার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা, মিডিয়া কর্মী এবং খুলনাবাসী যারা বহিরাগত জেলা থেকে আগতদের খাদ্য পানি ও আশ্রয় দিয়ে সহায়তা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলার সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর হোসেন আলম, মহানগর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারিকুল ইসলাম জহীর, জেলার আবু হোসেন বাবু, কাজী মো. রাশেদ. সৈয়দা রেহানা ঈসা ও ফখরুল আলম। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা আবু নাঈম।

মোহাম্মদ মিলন/এমএএস