পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরী ডিগ্রি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক সার্ফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার প্রবেশপত্র আটকে রেখে অতিরিক্ত এক হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা ওই কলেজের দুজন কলেজ শিক্ষকের মোবাইল ফোনে পরীক্ষার্থীর অভিভাবক পরিচয়ে ফোন করলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড সমূহে জানা গেছে, ফরম পূরণের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র ফি নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার আগ মুহূর্তে প্রবেশপত্র বিতরণের সময় আলাদা ফি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ৬ নভেম্বর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সার্ফিকেট পরীক্ষা শুরু হবে। ওই কলেজ থেকে মোট ২৬১ জন শিক্ষার্থী  ফরম পূরণ করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন পরীক্ষার্থী বলেন, আমাদের কাছে কোনো টাকা বকেয়া নাই। এরপরেও এক হাজার টাকা করে দিয়ে প্রবেশপত্র নিতে হয়েছে। যারা টাকা দেয়নি তাদেরকে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি।

আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, আমরা হলাম দা’র নিচের মাছ। প্রতিবাদ করলে যদি পরীক্ষার সময় ঝামেলা করে এই ভয়ে কিছু বলতে পারছি না।

কালিশুরী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নেছার উদ্দিন সিকদার ওরফে জামাল সিকদার বলেন, এক হাজার টাকা করে না, চারশ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। তবে পরীক্ষার্থীদের টাকা আদায়ের রসিদ দেওয়া হচ্ছে না বলেও তিনি স্বীকার করেন। পরীক্ষার আগ মুহূর্তে প্রবেশপত্র বাবদ টাকা নেওয়ার বিধান আছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিধান নাই। তবে পরীক্ষা চালানোর জন্য টাকা লাগে। অন্য কলেজগুলোতেও নেয়।

বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন বলেন, পরীক্ষার আগ মুহূর্তে প্রবেশপত্র আটকিয়ে টাকা নেয়ার কোনো সুযোগ নাই। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান, আমিও জানাবো।

পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল আমিন বলেন, প্রবেশপত্র আটকিয়ে অতিরিক্ত ফি আদায় করার কোনো সুযোগ নাই। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমএএস