চায়ের দাওয়াত দিয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে চাঁদা দাবির ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এর আগে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

একই সঙ্গে ব্ল্যাকমেইলের শিকার ব্যক্তির একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয় এবং ব্ল্যাকমেইলের কাজে ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার বাসিন্দা মো. মহসিন টিটু, জোবেদা, নারগিছ আক্তার, ইসমত আরা ও জহির। 

পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে ভুক্তভোগী আব্দুল খালেক বেচু মাইজদী শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে দত্তবাড়ীর মোড়ের একটি চায়ের দোকানে চা খেতে বসেন। ওই সময় বেচুর পূর্ব পরিচিত মো. মহসিন টিটু (৪৫) তাকে তার বাড়িতে চা খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। বেচু সরল বিশ্বাসে টিটুর সঙ্গে তার বাড়িতে যান। ওই সময় বেচু একটি রুমের ভেতরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে টিটু বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। সঙ্গে একজন অজ্ঞাত নারী ও ৫-৬ জন ব্যক্তিসহ ঘরে প্রবেশ করে বেচুকে বিবস্ত্র করে ফেলেন এবং অজ্ঞাত নারী নিজেও বিবস্ত্র হন। একপর্যায়ে অজ্ঞাত নারী আব্দুল খালেক বেচুর সঙ্গে জোরপূর্বক আপত্তিকর কাজে লিপ্ত হন এবং সকলে উক্ত আপত্তিকর কাজের ছবি মোবাইলে ধারণ করে। পরবর্তীতে তারা ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে তার মোটরসাইকেল রেখে দেন।  

সুধারাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, চায়ের দাওয়াত দিয়ে অশ্লীল ও আপত্তিকর ছবি ধারণ করতো তারা। অভিযোগ পেয়ে ব্ল্যাকমেইল চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

হাসিব আল আমিন/আরএআর