পানিতে ডুবে আছে স্কুলের চারপাশ, বিপাকে শিক্ষার্থীরা
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ইদ্রাকপুর ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারপাশ ৮ দিন দরে পানিতে ডুবে আছে। ফলে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো স্কুলে আসতে পারছে না। আর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, গত ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে বিদ্যালয়ে যাতায়াতে বিপাকে পড়ছে শিশু শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ৮ দিন ধরে পানি জমে থাকায় ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার পাশের ড্রেনের ঢাকনা খুলে রাখা হয়েছে। এতে চরম ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘ দিন পানি জমে থাকার ফলে ওই পানিতে এডিস মশাসহ অন্যান্য জীবাণু বংশ বৃদ্ধি করছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের পাশের পুকুর পাড়ে ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ পড়ে গেছে, যা অপসারণের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এলাকাবাসী জানায়, জলাবদ্ধতার বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভায় যোগাযোগ করার পরও তেমন কোনো কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। এতে তারা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, সদর উপজেলার পাশের রাস্তা দিনের পর দিন বেহালদশা হয়ে পরে থাকার পরও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। আমরা এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই।
বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ফাবিহা বলে, রাস্তা ও বিদ্যালয়ের সামনে পানি জমে রয়েছে। আমরা ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারছি না। জুতা হাতে করে আসতে হয়। পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। পানির কারণে প্রতিদিন স্কুলে আসি না।
তৃতীয় শ্রেণির আরেক ছাত্রী অন্তরা বলে, দীর্ঘ দিন স্কুলের সামনে পানি জমে রয়েছে। আমরা কয়েকজন পানিতে ভিজে স্কুলে আসি। ১০-১২ জন ক্লাস করছি। অন্যরা পানি থাকার কারণে আসে না।
ইদ্রাকপুর ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন নীতা বলেন, পানির কারণে বর্তমানে ৫০-৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয়ে আসছে। এলাকায় পানি নিষ্কাশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। প্রতি বছর একটু বেশি বৃষ্টি হলেই পানি জমে। গত বছর ২৫৪ জন শিক্ষার্থী ছিল। এ বছর কমে ২২২ জন হয়েছে। কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে স্থায়ী সমাধানের দাবি করছি।
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নার্গিস আক্তার বলেন, আমি ইদ্রাকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তাটি দেখেছি। পানি নিষ্কাশন নিয়ে পৌরসভার মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদ ভূইয়া বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তায় পানি বিষয়টা আপনার কাছ থেকে জানলাম। সমাধানে বিষয়টা নিয়ে সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো।
ব.ম শামীম/এসপি