কলাপাড়ায় তরমুজের ফলন বেশ, দামেও খুশি কৃষক
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। চড়া দামে বিক্রি করে কৃষকের মুখে ফুটছে হাসি। ইতোমধ্যে তারা পাইকারি ও খুচরা বিক্রি শুরু করেছেন। মহিপুর, কলাপাড়া, কুয়াকাটাসহ স্থানীয় বাজারে যাচ্ছে এসব রসাল তরমুজ। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা আসা শুরু করেছেন এখানে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার বিস্তৃত জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। ওই জমি এতদিন অনাবাদি ছিল। সেখানে স্থানীয়ভাবে বেশকিছু ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাঠটি বালুর মাঠ নামে পরিচিত। অনাবাদি ওই জমিতে এবার সোনা ফলিয়েছেন স্থানীয় চার কৃষক। তাদের উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি হয়েছে ১৫ লাখ টাকায়।
বিজ্ঞাপন
কৃষক মো. মনির হাওলাদার বলেন, আমরা চারজন মাস চারেক আগে ১৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করি। তরমুজের ফলন হয়েছে বাম্পার। নিয়মিত সার-কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কারের পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। আমরা পুরো খেতের তরমুজ ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি।
আরেক চাষি মো. রাজ্জাক মুসল্লি বলেন, তরমুজ বিক্রি করে আমাদের প্রত্যেকের তিন লাখ টাকা করে লাভ হয়েছে।
মহিপুর বন্দরের তরমুজ ব্যবসায়ী মো. কালাম বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপকূলীয় এলাকায় তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। আমরা সরাসরি কৃষকের থেকে কিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠাচ্ছি। মৌসুমের প্রথম তরমুজ আসায় কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন, আমাদেরও ব্যবসা হচ্ছে।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মন্নান বলেন, লতাচাপলী, মহিপুর, ধুলাসার, নীলগঞ্জ ইউনিয়নসহ এ উপজেলায় তিন হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। এবার এখানে বাম্পার ফলন হয়েছে।
কাজী সাঈদ/এইচকে