রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে রংপুরের ঐতিহাসিক কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে এ গণসমাবেশে শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এতে লক্ষাধিক নেতা-কর্মী যোগ দিয়েছিলেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। সমাবেশ শেষ হওয়ার পরপরই নেতা-কর্মীরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। 

সমাবেশ শেষে নগরীর মেডিকেল মোড়, বাস টার্মিনাল,  সাতমাথা ও মডার্ন মোড় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে,  বাস চলাচল শুরু হয়েছে। সমাবেশে আসা বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী সেসব বাসে করে বাড়িতে যাচ্ছেন।

এর আগে বিএনপির গণসমাবেশের দুদিন আগে হঠাৎ করে ৩৬ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় রংপুর মটর মালিক সমিতি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

মেডিকেল মোড় এলাকায় সলেমান আলী নামে এক বিএনপির কর্মী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল দিনাজপুর থেকে মাইক্রোবাস যোগে সমাবেশস্থলে এসেছিলাম। সেই মাইক্রোবাস গতকালই ফিরে গেছে। জানাছিল যে, আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে বাস চলাচল করবে। তাই বাসে যাব। সন্ধ্যা ৬টার আগেই এখানে এসে বাস পেয়ে গেলাম।

মিজানুর রহমান নামে আরেকজন বলেন, আজ সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক ভাইয়ের মোটরসাইকেলে এসেছিলাম রংপুরে। এখন ধর্মঘটের পর বাস চলাচল শুরু হওয়ায় বাসেই ফিরছি। কী কারণে এই বাস ধর্মঘট দিল, সেটা আমার মাথায় আসতেছে না। তবে এখন স্পষ্ট যে বিএনপির সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতেই ধর্মঘট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ধর্মঘট কোনোভাবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আটকে রাখতে পারেনি।

শিমু-শাহীদ এন্টারপ্রাইজের সুপারভাইজার খাইরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিকেল ৫টার পর থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে আমি বিকেল সাড়ে ৫টায় এখানে এসেছি। আমি আসার আগে আরও দুটি বাস রংপুর থেকে ছেড়ে গেছে, একটি পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্য আরেকটি ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে। 

রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির সভাপতি একেএম মোজাম্মেল হক বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কে থ্রি হুইলার, নসিমন, করিমনসহ লাইসেন্সবিহীন ও অন্যান্য অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে এবং রংপুর-কুড়িগ্রাম রুটে প্রশাসনিক হয়রানির প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধ ছিল। আজ সন্ধ্যার পর থেকে এসব যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

আরএআর