২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হচ্ছে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) মধ্যরাতে। তাই মাছ শিকারে নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভোলার জেলেরা।

এদিকে নিষেধাজ্ঞায় কঠোরভাবে অভিযান বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি সিত্রাংয়ের প্রভাবে মা ইলিশ অবাধে ডিম ছাড়তে পাড়ায় উৎপাদন অনেক বাড়বে বলে আশা করছে মৎস্য বিভাগ। 

জানা গেছে, ভোলায় নিবন্ধিত ১ লাখ ৫৮ হাজার ৩৭২ জন জেলেসহ ৩ লাখেরও বেশি জেলে মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ৭-২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলেরা বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিল। তবে এ সময়ে তারা জাল তৈরি ও নৌকা মেরামতের কাজ করেছেন। 

জেলেদের অভিযোগ, বরাদ্দ করা সরকারি প্রণোদনার চাল তারা সঠিক সময়ে সঠিকভাবে পায়নি। তবে নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরার সুযোগ পেয়ে ধার পরিশোধ করতে পারবে বলে আশা তাদের।

জেলে মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, সরকার ২২ দিনের অভিযান দিয়েছিল, আমরা সরকারের নিয়ম-কানুন মেনে চলছি। এই ২২ দিন আমরা নৌকা ও জাল ঠিকঠাক করছি। এখন অভিযান শেষ আমরা নদীতে নামার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু অভিযানের মধ্যে আমরা সরকারের কোনাে প্রণোদনা পাই নাই।

রহমান মাঝি বলেন, এই ২২ দিনের অভিযানে আমাদের অনেক অভাবের মধ্যে থাকতে হইছে। অনেক ধার-দেনা করা লাগছে। এখন অভিযান শেষ। নদীতে নেমে মাছ ধরে দেনা শোধ করমু।

এদিকে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে পেরেছে বলে দাবি করছে জেলা মৎস্য বিভাগ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ভোলা জেলার ৭ উপজেলায় ৪ শতাধিক জেলেকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। অভিযান সফল হওয়ায় মা ইলিশ অবাধে ডিম ছাড়তে পেরেছে। 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ জানান, এবারের অভিযান সফল করার পাশাপাশি সিত্রাংয়ের প্রভাবে বাড়তি বৃষ্টি ও নদীতে ব্যাপক স্রোতসহ নদীর পানির লবণাক্ততা কমে যাওয়ায় মা ইলিশ নদীর মিষ্টি পানিতে এসে ডিম ছেড়েছে। এবার ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। 

ভোলায় এবার ১ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ১৫ হাজার টন বেশি।

এসপি