বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বলেছেন, খুলনায় বিএনপির সমাবেশে বাধা দিয়েও জনস্রোত ঠেকাতে পারেনি। সমাবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে সরকারের পেটুয়া বাহিনী ও পুলিশ। কিন্তু লাভ হয়নি। খুলনা বিভাগের প্রান্তরে প্রান্তরে জনস্রোত সৃষ্টি হয়েছে। 

শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত রয়েছেন। 

জানা গেছে, বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনায় গণপরিবহন ও লঞ্চ বন্ধ রয়েছে। সমাবেশে যোগ দিতে নানা কৌশলে শুক্রবার রাতেই নেতা-কর্মীরা খুলনায় আসেন। শনিবার দুপুর পৌনে ১২টায় নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে নির্ধারিত সময়ের আগেই সমাবেশ শুরু হয়। দলে দলে সমাবেশে যোগ দেন নেতা-কর্মীরা। সমাবেশস্থল জনস্রোতে রূপ নেয়।  

এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। কোনো কোনো এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিতে দেখা গেছে তাদের। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারধর করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে খুলনা রেলস্টেশন এলাকায় দুপুরে পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রেলস্টেশনে ভাঙচুর করা হয়েছে। বিএনপির সমাবেশে আগত ব্যক্তিদের বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

মোহাম্মদ মিলন/আরএআর