ফাইল ছবি

খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে দুই দিন বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিক-শ্রমিক সংগঠন। খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আগামী ২১ ও ২২ অক্টোবর খুলনা থেকে সকল বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাস মালিক সমিতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে আগামী ২২ অক্টোবর দুপুরে খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় গণসমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, সমাবেশে খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, মাগুরা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নড়াইল, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা থেকে নেতাকর্মীদের আসার কথা রয়েছে। এছাড়া খুলনা মহানগর ও জেলার ৯টি উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশে অংশ নেবে। সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। সমাবেশকে ঘিরেই পরিবহন বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা বলেন, বিএনপির গণসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য পরিবহন বন্ধ রাখা হবে। এটা ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামেও করেছে তারা।

তিনি বলেন, কোনো বাধায় বিএনপির সমাবেশকে ঠেকাতে পারবে না। আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নেতাকর্মীরা যথাসময়ে সমাবেশে উপস্থিত থাকবে।

খুলনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, খুলনা জেলার ৯টি উপজেলা এবং বিভাগের ১০ জেলার নেতাকর্মীদের যে কোনোভাবে সমাবেশে আগেভাগে আসতে বলা হয়েছে। নেতাকর্মীরা আগে এসে খুলনা নগরীর আবাসিক হোটেল ও আত্মীয়দের বাসায় অবস্থান নেবেন। 

এদিকে খুলনা জেলা মিনিবাস ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমিতির কর্মকর্তা, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও মালিকদের উপস্থিতিতে সভায় বলা হয়, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সড়ক-মহাসড়কে নসিমন-করিমন, মহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিটিআরসির গাড়িগুলো চলাচল করছে। আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে প্রশাসন কর্তৃক অবৈধ নছিমন-করিমন মাহেন্দ্র ইজিবাইক ও বিটিআরসির যত্রতত্র কাউন্টার বন্ধ না করলে ২১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত দুই দিন মালিক সমিতির সকল গাড়ি বন্ধ থাকবে।

মোহাম্মদ মিলন/এসপি