যশোরে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী, বেশি শনাক্ত অভয়নগরে
যশোরে হঠাৎ করে বেড়েছে ডেঙ্গু রোগী। এতে যশোরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পৌরবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষ মশক নিধন কার্যক্রম না করায় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছেন, শিগগিরই মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করা হবে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা.বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ জন। এর মধ্যে বেশির ভাগ রোগী অভয়নগর উপজেলায় ৫১ জন। তাছাড়া কেশবপুর উপজেলায় পাঁচজন এবং সদর উপজেলায় ১১ জন ডেঙ্গু রোগী রয়েছে। এর আগে গত দুদিনে জেলায় মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ৩০ জন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ১১ দিনে হাসপাতালে ১৫০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে এর মধ্যে এখন পর্যন্ত কারো মৃত্যু হয়নি।
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ডেঙ্গু রোগী ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন নওয়াপাড়া পৌরবাসী। পৌরবাসীর অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষ মশক নিধন কার্যক্রম না করায় দিন দিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
নওয়াপাড়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাইদ হাসান বলেন, যশোরের মধ্যে অভয়নগরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সব থেকে বেশি। আমরা পৌরবাসীও আতঙ্কে রয়েছি। তবে পৌর কর্তৃপক্ষকে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে অভয়নগর পৌরসভার সচিব এসকে মোশাররফ হোসেনকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করার অভিযোগ যশোর পৌরবাসীরও। পৌরসভার বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘ ৭-৮ মাস যশোর পৌরসভায় কোনো মশক নিধন কার্যক্রম হয়নি। ফলে এ পৌরসভাতেও মশার উপদ্রব বেড়েছে। শনাক্ত হচ্ছে ডেঙ্গু রোগী।
যশোর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাবুল হোসেন বলেন, শহরের ড্রেনগুলোতে মশার বংশ বিস্তার দেখা যাচ্ছে। গত ৭-৮ মাসে পৌরসভা থেকে মশক নিধন স্প্রে করেনি। ফলে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। বাচ্চারাও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।
যশোর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুন্ডু বলেন, আমরা ইতোমধ্যে মেশিন এবং ওষুধ ক্রয় করেছি। সামনের সপ্তাহ থেকে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মশক নিধন অভিযান শুরু করা হবে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা.আখতারুজ্জামান বলেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে এ হাসপাতালে ১৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় কোনো ধরনের ত্রুটি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগীর চাপ সামলাতে হাসপাতালে আলাদা এলটি ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হবে।
এ্যান্টনি দাস অপু/এসপি