৬ দিন পর গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ছোট বলদিয়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ী মুনতাজ আলীর (৩৫) মরদেহ ছয় দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দামুড়হুদা সীমান্তের ৮১ মেইন পিলারের জিরো লাইনে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে মুনতাজের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পরে মরদেহটি দর্শনা থানা পুলিশ জিম্মায় নেয়।
নিহত মুনতাজ হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছোট বলদিয়া গ্রামের স্কুলপাড়ার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
পতাকা বৈঠকে ভারতের পক্ষে বিএসএফের বিজয়পুর ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর মহেশ রায় এবং বাংলাদেশের পক্ষে চুয়াডাঙ্গা বিজিবি-৬ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মেজর ইমরান হোসেন নেতৃত্ব দেন।
এ বিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মো. ইশতিয়াকের সরকারি নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ না করেননি।
দর্শনা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার সরকার বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সীমান্তের ৮১ মেইন পিলারের জিরো লাইনে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে মরদেহ পরিবারের কাছে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বিএসএফের গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে ছয় দিন পর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ।
উল্লেখ্য, শনিবার (৮ অক্টোবর) রাতে অবৈধভাবে গরু নিয়ে আসার জন্য ভারত সীমান্তে যান মুনতাজ হোসেনসহ তার সঙ্গীরা। এ সময় বিএসএফ গুলি চালালে মুনতাজ নিহত হন। বাকিরা পালিয়ে যান। পরদিন সকালে ভারত সীমান্তের মধ্যে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাংলাদেশিরা। ওইদিনই মরদেহ বিএসএফ নিয়ে যায়।
আফজালুল হক/আরএআর