৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন নীলফামারী, মোমবাতির আলোতে চিকিৎসা
নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) নীলফামারীর একটি সাব স্টেশনের ৩৩ কেভি লাইনের পিন টাইপ ইন্সুলেটর ফেটে যাওয়ায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে জেলা শহরসহ আশপাশের এলাকা। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না পেয়ে জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা চলছে মোমবাতি জ্বালিয়ে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে জেলা শহরের কুখাপাড়া সাব-স্টেশনের ৩৩ কেভি লাইনের পিন টাইপ ইন্সুলেটর ফেটে যায়। এতে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে নেসকো নীলফামারীর আওতাধীন এলাকা।
বিজ্ঞাপন
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করতে কাজ করছে নেসকোর সংশ্লিষ্টরা। দ্রুত মেরামতের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতি জ্বালিয়ে স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সরা। পুরুষ, নারী ও শিশু ওয়ার্ডে আলো না থাকায় চরম ভোগান্তিতে রোগী ও তাদের স্বজনরা।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জুলফিকার আলী নবাব বলেন, সন্ধ্যার আগে থেকেই বিদ্যুৎ নেই। মোমবাতি জ্বালিয়ে সেবা প্রদান করছি। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় রোগীদের সমস্যা হচ্ছে। স্বজনরাও পড়েছেন বিপাকে।
এদিকে এসএসসি পরীক্ষা চলমান থাকায় পরীক্ষার্থীরাও বিপাকে পড়েছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হবে অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা। বিদ্যুৎ না থাকায় পড়াশুনা ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও বিপাকে পড়েছেন জেলার ছাত্রাবাস, ছাত্রীনিবাস ও আবাসিক হলগুলোতে অবস্থান করা প্রায় ১৫ হাজার সাধারণ শিক্ষার্থী।
উকিলের মোড় খালিদ ছাত্রাবাসের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তারেক বলেন, ৪ দিন পর পরীক্ষা। এ সময়ে বিদ্যুৎ না থাকায় পড়াশোনা করতে পারছি না।
আরেক শিক্ষার্থী নূর আলম বলেন, সামান্য একটু বৃষ্টি হয়েছে আর ৭ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ নেই। লোডশেডিং হলেও কোনো আপত্তি ছিল না। তবে এতক্ষণ কেন?
এসএসসি পরীক্ষার্থী আইরিন আক্তার বলে, এমনিতে পরীক্ষা স্থগিত ও প্রশ্নফাঁসসহ নানা জটিলতা। এর মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় পরীক্ষার প্রস্তুতিও নেওয়া যাচ্ছে না।
নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী নওশাদ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে ২টি পিন টাইপ ইন্সুলেটর ফেটে যাওয়ায় পুরো শহর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফেটে যাওয়া ইন্সুলেটর পরিবর্তন করে নতুন লাগানোর পর আরও ৩টি পিন টাইপ ইন্সুলেটর ফেটে যায়।
তিনি বলেন, দুটি টিম কাজ করছে। জনবল কম থাকায় একটু সমস্যা হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে কাজ করছি। আশা করি দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
শরিফুল ইসলাম/ওএফ