জবানবন্দিতে সর্বনাশ করা কিশোরীকে বিয়ের কথা জানালেন টিপু
কিশোরীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখে ভয়ে পালিয়ে যায় বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন নোয়াখালীর কবিরহাটে প্রতিবেশী চাচাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি মো. টিপু (২৫)।
রোববার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
বিজ্ঞাপন
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. মুহিবুল্লাহ ১৬৪ ধারায় আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ডের পর আদালতের নির্দেশে আসামিকে রাত ৯টার দিকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কবিরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জবানবন্দিতে আসামি টিপু সব দোষ স্বীকার করেন। মূলত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখে সে ভয়ে পালিয়ে যায়। তার আগে সে আধাঘণ্টা হতবিহ্বল হয়ে বসে ছিল।
ওসি মো. রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, টিপু একাই এই কাজ করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সে বলেছে তার পরিবারের কেউ এ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত নেই। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে টিপুকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
টিপু ওই কিশোরীকে বিয়ে করতে চায় উল্লেখ করে ওসি রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, টিপু কিশোরীকে ভালোবাসে বলে আদালতে জানায়। তার কারণে ওই কিশোরীর ক্ষতি হয়েছে। নিজের ভুল স্বীকার করে সে কিশোরীকে বিয়ে করতে চায়।
প্রসঙ্গত, গত ৪ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিবেশী চাচাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে রাত ২টার দিকে ওই কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
পরবর্তীতে বুধবার (৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত টিপু ও তার মা-বাবাসহ চারজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। গতকাল শনিবার (৮ অক্টোবর) রাতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে টিপুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
হাসিব আল আমিন/এমএএস