আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) মধ্য রাত থেকে ২৮ অক্টোবর মধ্য রাত পর্যন্ত ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। 

ইলিশের নিরাপদ প্রজনন এবং ভবিষ্যতের জন্য মাছটি রক্ষার লক্ষ্যে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের স্বার্থে এ সময় মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মৌসুমজুড়ে ইলিশে খরা আর বারবার বৈরি আবহাওয়ার কারণে মাছ শিকার বন্ধ রাখার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে মা ইলিশের বাধাহীন প্রজননের জন্য ২২ দিনের অবরোধ। 

৭ অক্টোবর (৬ অক্টোবর রাত ১২.০১ মিনিট) থেকে শুরু হওয়া এ মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলবে ২৮ অক্টেবর পর্যন্ত। তবে ইলিশ ডিম ছাড়ার উপযুক্ততা অর্জন না করায় মৎস্য বিভাগের এ সময় নির্ধারণ নিয়ে কুয়াকাটার উপকূলীয় এলাকার জেলে ও ব্যবসায়ীদের রয়েছে আপত্তি।
 
মৌসুমজুড়েই ছিল কুয়াকাটা ও মহিপুর উপকূলীয় এলাকার জেলেদের জালে ইলিশের আকাল। ধরা পড়া মাছের অধিকাংশই ছিল আকারে ছোট। বৈরি আবহাওয়ার কারণে বেশ কয়েকবার বন্ধ ছিল মাছ ধরা। এরই মাঝে ৭ অক্টোবর থেকে মা ইলিশের বাধাহীন প্রজননের জন্য সাগরসহ নদী মোহনায় মাছ শিকার বন্ধ রাখতে হচ্ছে ২২ দিন। 

অবরোধকালীন সময়ে দেওয়া প্রনোদনা বাড়ানোসহ নির্ধারিত সময়ে তা প্রকৃত ইলিশ শিকারীদের মাঝে বিতরণ ও পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেদের মাছ ধরা বন্ধের দাবি জেলেদের। 

জেলে হাকিম বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে কয়েক বার সাগরে গিয়ে ছিলাম কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে মাছ শিকার না করেই ফিরে আসতে হয়েছে। এখন আবার ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে পরিবার নিয়ে খুব সমস্যায় পড়বো।
 
মাঝি কামাল বলেন, ইলিশের ডিম ছাড়ার সময় এখনও হয়নি। আরও ১৫ দিন পিছিয়ে দিলে সঠিক সময় হতো। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে সরকার আমাদের ২০ কেজি চাল সহায়তা দেয় তা দিয়ে পরিবার চলে না।

মৎস্য ব্যসায়ী আবু জাফর বলেন, এ বছর ইলিশের আকাল ছিল মৌসুমজুড়ে। এ বছর ব্যাপক লোকসান গুনতে হবে।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ইলিশের নিরাপদ প্রজননের স্বার্থে এ সময় মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে ইতোমধ্য জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা করেছি। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কাজ করবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

এমএএস