শেরপুরে একটি পূজা মণ্ডপের পাশে পদ্মা সেতুর আদলে সেতু নির্মাণ করে সাড়া ফেলেছে বাগবাড়ি বয়েজ ক্লাব নামে একটি সংগঠন। ভিন্নধর্মী এ আয়োজনে দেখতে ভিড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের।

জানা গেছে, প্রতি বছর বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনার আদলে মণ্ডপ সাজিয়ে আলোচনায় এসেছে পৌর শহরের বাগবাড়ি বয়েজ ক্লাব। তারা এবার মণ্ডপের পাশে পুকুরের ওপর তৈরি করেছেন পদ্মা সেতু। আর তাই দেখতে ভিড় করছে দর্শনার্থীরা। দীর্ঘ এক মাস পরিশ্রম করে পদ্মা সেতু তৈরিতে খরচ হয়েছে অর্ধলাখ টাকা। জেলা শহরের বাইরে থেকেও দর্শনার্থী আসছেন এই সেতু দেখতে।

তবে প্রতি বছর নিজেদের অর্থায়নে আকর্ষণীয় আয়োজন করলেও উন্নয়ন হয়নি বাগবাড়ি মন্দিরের। মন্দির উন্নয়নে সরকারের আর্থিক সহযোগিতা চান আয়োজকরা।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য মতে, মহাধুমধামে চলছে শারদীয় দুর্গোৎসব। প্রতিটি মণ্ডপই সাজানো হয়েছে আকর্ষণীয় সাজে। এ বছর শেরপুর জেলায় ১৫৫টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।

সনজিত সূত্রধরের স্ত্রী বলেন, গেল বছর আমরা ভাসমান করোনাভাইরাসের অবয়ব বানিয়েছিলাম। প্রতি বছরই আমাদের বাগবাড়ি বয়েজ ক্লাবের উদ্যোগে কিছু না কিছু তৈরি করি। তার আগে পানসী নৌকায় মণ্ডপ করেছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের পদ্মা সেতু তৈরি করায় বেশ গর্বিত আমরা।

পদ্মা সেতু দেখতে আসা বাবু চন্দ্র দে বলেন, আমরা ফেসবুকে দেখেছি। সরাসরি তো পদ্মা সেতু দেখতে পারি নাই, তাই আমরা আজ এখানে পদ্মা সেতু দেখতে এসেছি। এটি অনেক সুন্দরভাবে তৈরি করেছে। পূজা মণ্ডপে এটা দেখতে পারব ভাবি নাই।

বাগবাড়ি বয়েজ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অক্ষয় নন্দী বলেন, আমরা প্রতিবারই নতুন কিছু করি। এ বছর আমরা স্বপ্নের পদ্মা সেতু তৈরি করেছি। আমরা চাই আমাদের মণ্ডপে যেন দর্শনাথী বেশি আসে।

সভাপতি বিজয় চন্দ্র দে বাবন,  প্রতি বছরের মতো আমরা দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য পদ্মা সেতু তৈরি করেছি। আমাদের শেরপুরের মানুষ পদ্মা সেতুকে দেখতে পারেনি। তাই আমরা এই পদ্মা সেতু তৈরি করেছি। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের এই মন্দিরে অনেক আগে থেকে পূজা হলেও মন্দিরের উন্নয়নে কেউ নজর দেয়নি। আমরা চাই সরকার আমাদের মন্দিরের উন্নয়নের জন্য সহায়তা করুক।  

এসপি